আপনজন ডেস্ক: কোণঠাসা হয়ে পড়ায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তাতে সায় মিলেছে নেপালের প্রেসিডেন্টের। এ ব্যাপারে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। এ নিয়ে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা মাধব নেপালকে উদ্ধৃত করে এক সংবাদ সংস্থা জানায়, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।
যদিও প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশে অবশেষে নেপালের সরকার ভেঙে দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ও ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারি।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী ওলির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) অভিযোগ, তিনি সরকারি সিদ্ধান্ত ও নিয়োগে এনসিপিকে এড়িয়ে চলছিলেন।
করোনা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে চাপে পড়ার পাশাপাশি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক গেরিলা ও মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ডের সঙ্গে বিরোধে জড়ান ওলি।
প্রাক্তন মাওবাদী বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০১৭ সালে ভূমিধস জয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন ৬৮ বছর বয়সী ওলি। শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সকালে মন্ত্রী পরিষদের জরুরি বৈঠকে তিনি জানান, তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ফলে সরকার ভেঙে দেওয়া হোক। সংবিধান পরিষদীয় আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল প্রধানমন্ত্রী ওলির ওপর। তাই সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন ওলি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct