আপনজন ডেস্ক: রাজধানী দিল্লি এখন প্রায় অবরুদ্ধ হতে চলেছে কৃষি আইন বিরোধী কৃষকদের আন্দোলনের ফলে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গেকয়েক দফা আলোচনা চালালেও তার ফল মেলেনি। এর ফলে, কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে অস্থিরতা দিনে দিনে বাড়ছে। আন্দোলন মাস খানেক পেরলেও এই আন্দোলনের ইতি ঘটাতে কেন্দ্রীয সরকারের যে গয়ংগচ্ছ মনোভাব তার সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে হওয়া দুটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মোদি সরকার কেন্দ্র যেভাবে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে চাইছে তা অবশেষে ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ, দর কষাকষি নয়, কৃষকদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হোক যেখানে সরকারের প্রতিনিধি, দেশের সব প্রান্তের কৃষক নেতা ও অন্যান্যরা থাকবে।
দুটি মামলার শুনানিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে মন্তব্য করেন, খুব শীঘ্রই এই আন্দোলন একটি সর্বভারতীয় ইস্যু হয়ে যেতে পারে। তাই এই সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে।
তবে, এদিন যেভাবে কৃষি আন্দোলনকে ঘিরে বিভিন্ন মামলা হচ্ছে, তা নিযে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বলা হয় গত ২০ দিন ধরে দিল্লির সীমান্ত এলাকার রাস্তা আটকে কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে যে যান সমস্যা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা। এই সমস্যার কারণেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে বলে দায়ী করা হয়। কৃষকদের বিশাল জমায়েত থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোরও আশঙ্কা থাকার কথাও বলা হয়। অন্য মামরায় কৃষক আন্দোলনকারীদের দিল্লিতে প্রবেশ ও যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ করার অনুমতি সহ পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়। এসব নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রুষ্ট হয়।
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনকারী ও সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চরমে। নতুন আইনে কিছু সংশোধন করা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানতে নারাজ কৃষকরা। কেন্দ্রে উপর আস্থা নেই। তাই তাদের একটাই দাবি, ওই তিন আইন বাতিল করতে হবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাদের প্রাথমিক জয় হিসেবে মনে করছে তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct