আপনজন ডেস্ক: মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পর বোঝা যাচ্ছিল শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়বেন। বিভিন্ন পদ থেকে সরে যাওযার পর অবশেষে বুধবার বিধায়ক পদ থেকে একেবারে নীরবে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু। নিজে বিধানসভায় গিয়ে সচিবের কাছে হাতে লেখা চিঠিতে ইস্তফাপত্র জমা দেন। এরপর তা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেইল করে পাঠান।
তবে, জানা গেছে, নিয়ম অনুসারে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফা জমা দিতে হয়। এদিন অধ্যক্ষ বিধানসভায় ছিলেন না। তাই সচিবের কাছে জমা দেওয়া ইস্তফা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সেই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, নিয়ম ানুসারে অধ্যক্ষের কাছেই ইস্তফা জমা দেওয়াই রীতি।
শুভেন্দুর এই ইস্তফা দেওয়ায় বিধায়ক জীবনের আপাত ইতি। ২০০৬ সালে নন্দীগ্রাম থেকে প্রথম বিধায়ক হন। এরপর ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দু’বার শুভেন্দু তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন। ২০১৬ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মন্ত্রী হন। মন্ত্রিত্ব থাকাকালীন এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং সমবায় ব্যাংক প্রভৃতি প্রায় গোটা কুড়ি শীর্ষ পদে আসীন হন। তারপরও তার ক্ষোভ কমেনি।
তবে, মুখে শুভেন্দু কিছু না বললে রাজনৈতিক মহলের ধারণা তিনি অবশেষে বিজেপিতেই যোগ দেবেন। সূত্রে জানা গেছে বৃহস্বাপতিবার দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু। ফিরে এসে অমিত শাহের কলকাতা সফরেরই তিনি নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নিশ্চিত না হলেও এই ধারণাই এখন স্পস্ট হয়ে ওঠায় চাঙ্গা রাজ্য বিজেপি। তবে, বিজেপিতে গেলে শুভেন্দুকে কতটা মান্যতা পাবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কারণ, মুকুল রায়ের মতো হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে থাকায় তিনি কল্কে পাবেন কিনা সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আর যেহেতু বিজেপি দিল্লি নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ভর করে চলে। তাই শুভেন্দু বিজেপি সত্যিই বিজেপিতে যাবেন কিনা ভাবাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, না তৃণমূলে ফিরবেন, না বিজেপিতে সম্মান জনক পদ পাবেন। তাহলে কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে বিজেপি তুলে ধরবে বলেই তার এই তৃণমূল ত্যাগ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct