আপনজন ডেস্ক: হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়া ২০২১ সালে হজে যাওয়ার জন্য দেশের মুসলিমদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করেছিল গত ৭ নভেম্বর। আর আবেদন জানানোর শেষ তারিখ ছিল ১০ ডিসেম্বর্, ২০২০। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় হজ কমিটি সেই আবেদন জানানোর তারিখ বাড়িয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত করেছে।
এ ব্যাপারে হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী আধিকারক ড. মকসুদ আহমেদ খান এক নির্দেশ জারি করে বলেছেন, হজযাত্রা ২০২১-এর নির্দেশিকার ৪.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হজে যাওয়ার আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১০ ডিসেম্বর ২০২০। বিভিন্ন রাজ্য হজ কমিটির প্রতিনিধিদের আবেদনের ভিত্তিতে হজে যাওয়ার আবেদন করার মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ জানুয়ারি ২০২১। আর হজ নির্দেশিকা ২০২১-এর ৪.১ (বি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হজে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট যাদেরকে ১০ জানুয়ারি ২০২১ কিংবা তার আগে ইস্যু করা আর মেয়াদ ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারাই কেবল আবেদন করতে পারবেন।
সেই সঙ্গে এদিন দেশের যে দশটি প্রস্থান কেন্দ্র রয়েছে, সেই সব জায়গা থেকে হজে যাওয়ার জন্য আজিজিয়া ক্যাটেগরিতে খরচের আনুমানিক মূল্য জানিয়ে দেওয়া হওয়া হয়েছে।
হজ কমিটি অফ ইন্ডিয়ার কার্যনির্বাহী আধিকারক ড. মকসুদ আহমেদ খানের জারি করা নির্দেশে জানা গেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি খরচ গুয়াহাটি থেকে যারা হজে যাচ্ছেন। তারপরেই খরচ বেমি কলকাতা থেকে।
কলকাতা থেকে উড়ার ধরার জন্য খরচ হবে ৩,৬৯,০৫০.৪০ টাকা। অনুরূপভাবে আহমদাবাদ থেকে ৩,২৮,১৬৮.৪০ টাকা, বেঙ্গালুরু থেকে ৩,৪২,৯৯৪.৪০ টাকা, কোচিন থেকে ৩,৫৬,৪৩৩.৪০ টাকা, দিল্লি থেকে ৩,৪৪,৮০৯.৪০ টাকা, গুয়াহাটি থেকে ৩,৯৯,২৭৩.৪০ টাকা, হাযদরাবাদ থেকে ৩,৪৯,৩৮১.৪০ টাকা, লখনউ থেকে ৩,৪৪,১৩৩.৪০ টাকা, মুম্বাই তেকে ৩,২৯,২৭৯.৪০ টাকা আর শ্রীনগর থেকে ৩,৬১,৯২৭.৪০ টাকা।
উল্লেখ্য, এ্র বেশি বয়সিরা যেতে পারবেন না। প্রসূতিরা এবার যেতে পারবেন না্। হজ প্রক্রিয়া চলবে প্রায় ৩০-৩৫ দিন ধরে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৯ বর্গ মিটার থাকার জায়গা দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সব হজযাত্রীকে সৌদি আরব সরকারের করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।
যারা এর আগে হজে গেছেন হজ কমিটি মারফত তারা আর আবেদন করতে পারবেন না। তবে মাহরাম হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। আর ফর্ম পূরণ যাচাই করার পর কভার নম্বর পাওয়া যাবে। নির্বাচিত হলে রাজ্য হজ কমিটিতে আবেদনের প্রিন্ট জমা দিতে হবে।
হজ কমিটির তরফে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া হবে। হজের আবেদনকারীকে ‘মেশিন রিডেবল’ পাসপোর্টের প্রথম ও শেষ পাতা আপলোড করতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। দিতে হবে পাসপোর্ট সাইজের ফটো, বাতিল চেকের সামনের পাতা ও ঠিকানার প্রমাণপত্র। ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, তিন মাসের পুরনো নয় এমন ইলেকট্রিক বিল, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের ছবি প্রভৃতি। আবেদন করতে হবে এই ওয়েবসাইটে: http://hajcommittee.gov.in.
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct