আপনজন ডেস্ক: অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই চূড়ান্ত এনআরিসি তালিকায় ৪,৭৯৫টি ‘অযোগ্য’ নাম সংশ্লিষ্ট রযেছে বলে গৌহাটি হাইকোর্টকে জানালেন অসমের এনআরি কোঅর্ডিনেটর হীতেশ দেব শর্মা। তিনি এও জানান, ২০১৯ সালে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ওই সব নামগুলি ‘চূড়ান্ত’ নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট অসমের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হয়্। এনআরসি তালিকাভুক্ত করার জন্য প্রায় ৩.৩ কোটি মানুষ যা অসমের জনসংখ্যার ৬ শতাংশ আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১৯.২২ লাখ মানুষের নাম বাদ যায়।
অসমের এনআরসি কোঅর্ডিনেটর হীতেশ শর্মা গত ৩ ডিসেম্বর গৌহাটি হাইকোর্টে ১৪৮ পাতার এক হলফনামা জমা দিয়ে বলেছেন, কিছু জেলার নাগরিক নথিভুক্তকরণ আধিকারিক বা ডিআরসিআর চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশের পর ‘অনুরোধ’ করেছিলেন ‘প্রকৃত কারণ’ দেখিয়ে এনআরসি তালিকায় কিছু পরিবর্তনের জন্য।
ওই হলফনামায় বলা হয়েছে. ১০,১৯৯টি আবেদন পেয়েছে ডিআরসিআর থেকে এনআরসি তালিকায় পরিবর্তনের জন্য্ এই ১০,১৯৯ জনের মধ্যে মোট ৫,৪০৪ জনের নাম ‘বাতিলের’ পর ‘গ্রহণযোগ্য’ হওয়ার জন্য। আর ৪,৭৯৫টি নাম ‘গ্রহণযোগ্য’ থেকে ‘বাতিল’ করার জন্য।
এছাড়া, ১,০৩২ জন অযোগ্য ব্যক্তির নাম ‘বিদেশি ঘোষণা’ অথবা ‘ডাউফুল ভোটার’ কিংবা বিদেশি ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। আর অন্য ৩,৭৬৩ জনের নাম অন্য কারণে অযোগ্য বলা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর এনআরসি কোঅর্ডিনেটর লিখিতভারে সব ডেপুটি কমিশনার ও ডিআরসিআর-কে জানিয়েছিল অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম জমা দেওয়ার জন্য।
শর্মা হলফনামায় আরও বলেছেন, রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশের ব্যাপারে নিশ্চুপ হয়ে আছে। যদিও ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে অসমের রাজ্য এনআরসি কোঅর্ডিনেটরের অফিস চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সেটাকে চূড়ান্ত বলেনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct