আপনজন ডেস্ক: জেরুসালেমে অবস্থিত বিশ্ব মুসলিমের কাছে তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল আকসার খতিবের উপর ইসরাইলি সেনাদের হয়রানি আঘাত দিয়েছিল ফিলিস্তিন সহ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকেও। তাই, আল আকসা মসজিদের খতিবের প্রতি সহমর্মিতায় তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন খোদ এরদোগান। সেই অভ্যর্থনাকে ভালো চোখে দেখছে না ইসরাইল। এরদোগানের এই খতিব-প্রীতি ইসরাইলের প্রতি এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ বলে অভিহিত করল লেবাননে অবস্থিত আন্তর্জাতিক জেরুজালেম ফাউন্ডেশন। শনিবার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দখলদার ইসরাইলের নৃশংস হয়রানির শিকার শায়খ ইকরামা সাবরিকে সংবর্ধনা দেয়ার মাধ্যমে এরদোগান তার প্রতি সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশ করেছেন।’ বিবৃতি অনুসারে, ফাউন্ডেশন এই সংবর্ধনাটিকে একটি ‘সরকারি ঘোষণা হিসাবে বিবেচনা করে যার মাধ্যমে তুরস্ক শায়খ সাবরির প্রতিনিধিত্বমূলক আদর্শকে গ্রহণ করে’। সেখানে আরও বলা হয়, ‘যারা জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে মনে করে এবং ইসরাইলের দখলদারিত্বের নীতিমালার বিপক্ষে অবস্থান করে তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ উদাহারণ।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলের বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন হাইয়া সোফিয়া মসজিদে ফিলিস্তিনের আল আকসা মসজিদের খতিব শায়খ ইকরামা সাবরির পেছনে জুমার নামাজ আদায় করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার সাথে তুরস্ক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ দেশটির ধর্ম বিষয়ক অধিদফতরের প্রধান শায়খ আলি আরবাশও অংশগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনের ইসলামিক ওয়াকফ জেরুজালেমের প্রধান শায়খ ইকরামা সাবরি বিশেষ সফরে তুরস্কে যানন। এ সময় তিনি দেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতি অবস্থান পরিদর্শন করতেই এই সফর বলে জানান তিনি। গত ১ ডিসেম্বর এরদোগান মসজিদে আকসার খতিবকে অভ্যর্থনা জানিয়ে শতাব্দির চুক্তি বাস্তবায়নের নামে মসজিদে আকসা বিভক্তের প্রতিবাদ করেন। এছাড়া মসজিদ আকসাকে দখলদারদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখতে ইসলামি ওয়াকফের পাশে থাকার কথা বলেন তিনি। এরদোগানের এই আল আকসা প্রীতি ইসরাইলের মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct