আপনজন ডেস্ক : রাজ্য আলু পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্বে সরগরম প্রাক ভোট রাজনীতি। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন(এফএও) যা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা রীতিমত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংস্থাটির রিপোর্ট বলছে ছয় বছরের মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম এবছর সর্বোচ্চ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের দাবি, এখনই যদি বিষয়টির দিকে নজর না রাখা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরবে। ফলে বিশ্ব অনাহার মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। করোনা অতিমারীকে এই সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৪৫টি দেশে প্রবল তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে ৩৪টি দেশ আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভূক্ত। এফএও খাদ্য মূল্যের সূচক বলছে মাসে গড় পয়েন্ট ১০৫.৫। যা অক্টোবরের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ এবং গত বছরের তুলনায় ৬.৫ শতাংশ বেশি।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের পর এবছরের নভেম্বরে গোটা বিশ্বের খাদ্য দ্রব্যের দাম রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একাধিক খাদ্য দ্রব্যকে নিয়ে এক একটি বাসকেট বা ঝুড়ি তৈরি করে এই সংস্থাটি। তারপর গোটা বিশ্বে তাদের দামের অনুপাত তৈরি করে একটি পয়েন্ট বার করা হয়। সেই পয়েন্টের সাপেক্ষেই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে ওই খাদ্যদ্রব্যগুলির দাম ঠিক কতটা বেড়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১২ সালের পর খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ার গতি কখনও এতটা হয়নি। অন্য দিকে ২০১৪ সালের পর খাদ্য দ্রব্যের দামের এমন রেকর্ড বৃদ্ধিও ঘটেনি।
সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে ভোজ্য তেলের। বিশ্বের বাজারে পাম তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই সার্বিক ভাবে তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৪.৫ শতাংশ। চাল, গম, ভুট্টা, জোয়ার সহ একাধিক সিরিয়ালের দাম বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। গত বছর দুগ্ধজাত খাবার এবং মাংসের দাম ১৩.৭ শতাংশ কমেছিল। এ বছর তা প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct