আপনজন ডেস্ক: বন্দুকের গুলি দিয়ে হত্যা করা ইরানের অন্যতম পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে সোমবার তেহরানের ইমামজাদা সালেহর মাজার প্রাঙ্গণে দাফন করা হল। ইরানের এই বিজ্ঞানীকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। তেহরানে রাষ্ট্রীয় টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ফাখরিজাদের কফিন দেশটির রাষ্ট্রীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। শীর্ষ এ বিজ্ঞানীর কফিনের চারপাশ ফুল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে এবং কফিনের সম্মুখে ছবি লাগানো রয়েছে। পাশাপাশি জানুয়ারিতে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কমান্ডার কাসেম সোলায়মানির ছবি দেখা যায়। করোনাভাইরাসের কারণে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ফাখরিজাদের জানাজায় শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েক ডজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফাখরিজাদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন থেকেই ফাখরিজাদেকে ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির মূল ব্যক্তি বলে সন্দেহ করে এসেছে। কূটনৈতিকরা তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
শুক্রবার তেহরানের কাছে গুপ্ত হামলার শিকার হয়ে মারা যান তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরানের দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরানের রাজনৈতিক নেতারা ও সামরিক বাহিনী। দেশটির পক্ষ থেকে ফাখরিজাদেহের হত্যার প্রতিশোধের কথা বলা হয়। ২০১০ সাল থেকে ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার জন্য ইসরাইলকেই দায়ী করে আসছে ইরান।
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদকে একটি রিমোট কন্ট্রোলড বন্দুক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে এক সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি। ফাখরিজাদেহকে ওপর হামলার পেছনে ইসরাইল রয়েছে বলে দাবি করছে ইরান।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনি এবং অন্যান্য নেতারা। শুক্রবার একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে তার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে সময় নিরাপত্তাবাহিনীর তিনটি গাড়ি তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। এসময় তার গাড়িতে একটি বুলেট লাগার শব্দ হলে তা দেখতে তিনি বের হন। এরপরেই একটি রিমোট কন্ট্রোলড বন্দুক থেকে গুলি ছোড়া হয়। প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct