চিত্ত-রঞ্জন
আপনজন ডেস্ক: মুক্তির প্রহর গুণছে ‘ছবিয়াল’। পরিচালক মানস বসুর কথায়, ‘অসম্ভব গরমের মধ্যে ছবির শ্যুটিং করেছি আমরা। হুগলির বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে আমরা কাজ করেছি। বেশ কয়েকটা সেটও তৈরি করেছিলাম আমরা। একটা অট্টালিকা-সমান বাড়িতে আমরা থাকতাম। আর আরেকটা বাড়িতে টেকনিশিয়ানরা। শ্রাবন্তীর মতো অভিনেত্রীকে দেখতে ভিড় করতেন অসংখ্য মানুষ। অন্যদিকে, অপুদার মতো এমন একজন মেথডিকাল অভিনেতা সত্যিই দেখিনি। ওঁর কাছ থেকে আমিও ছবি করতে করতে অনেক কিছু শিখলাম। আমরা দারুণ মজা করে ছবিটা শ্যুট করেছি। একজন মানুষ তাঁর প্রেমের জন্য কতদূর যেতে পারেন, সেটাই ছবিয়ালের গল্প। আশা করি দর্শকের ভালো লাগবে এমন ছকভাঙা কাহিনি।’
ছবিয়ালের গল্পটা ঠিক কেমন?
হাবল ছবি তোলে। ফটোগ্রাফার। শ্মশানে যে মৃতদেহগুলি আসে, সেই দেহের ছবি অর্থর বিনিময়ে হাবল তুলে দেয়। কনকদার সহকারী ছিল হাবল। কনকদা খুবই ভালো ছবি তোলেন। কনকদা বিয়ে বাড়ির ছবি তুলত। কনকদা একদিন রিয়াদির প্রেমে ধাক্কা খেয়ে পাড়াছাড়া হয়। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল হাবলকে। তাঁর কাছ থেকেই ক্যামেরা হাতে তুলে নিল হাবল। তবে প্রেম নিয়ে হাবলের মনে তৈরি হয় ধোঁয়াশা, দ্বন্দ্ব ও অবিশ্বাস।
এসবের মধ্যেই শ্মশানের স্টুডিয়োর ঘরে হাবলের দিন কাটে ক্যামেরা, কম্পিউটার ও সহকারী বিলের সঙ্গে। মাঝে মাঝে শ্মশানপাড়ার বন্ধু পালদা, সুগনা, বিশুদের সঙ্গে জমজমাট আড্ডা, সঙ্গে বাংলা। এভাবেই একদিন আচমকা প্রেম আসে হাবলের জীবনে। প্রেম তো ঐশ্বর্য, আর সেটি লুকিয়ে রাখতে চান সবাই। হাবলও তাই করল। শ্মশানের স্টুডিয়ো ঘরেই বাড়তে থাকে তাঁদের প্রেম। কিন্তু অন্য কেউ জানত না সে ব্যাপারে।
হাবল মনে মনে কথা বলে দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান বন্ধুরা। তার পর জোর করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাবলের নেক্রোফিলিয়া ধরা পড়ে। শুরু হয় চিকিৎসা। তার পরেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। হাবল তাঁর প্রেম লাবণ্যকে বাঁচানোর জন্য কী করতে পারে, সেই গল্পই বিবর্তিত হয়েছে ‘ছবিয়াল’-এ।
এই ছবিতে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যরা। ছবির মিউজিক দিয়েছেন মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রযোজক মিলন দত্ত এবং পরমহংস চিত্রমের প্রযোজনায় এই ছবি মুক্তির কথা আগামী ১১ ডিসেম্বর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct