বাঁকুড়া: সিপিআইএমের ডাকা ভারত বনধের কোনো প্রভাব পরল না বাঁকুড়া জেলায়।
সিপিআইএমের বিভিন্ন সংগঠনগুলি একত্রিতভাবে আজ অর্থাৎ ২৬শে নভেম্বর ভারত ব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব পড়ল না বাঁকুড়া জেলায়। জেলার সর্বত্র দোকানপাট খোলা রয়েছে তবে বেসরকারি বাস পরিষেবা বনধের ফলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষদের। এই যেমন প্রাচীন পৌরশহর সোনামুখীতে ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি এমনই ছবি ধরা পরল আমাদের ক্যামেরায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দিনের মতোই সমস্ত দোকানপাট খোলা রয়েছে নিয়ম মেনে সোনামুখী পৌর সবজি বাজার খুলেছে এবং সাধারণ মানুষও বাজারে বাজার করতে ভিড় জমিয়েছেন। সব মিলিয়ে সোনামুখী শহরে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় ছবির কোন পার্থক্য নেই। এর পাশাপাশি পাত্রসায়ের ইন্দাস বর্যরা বিষ্ণুপুর সর্বত্রই সাধারণ মানুষ অন্যান্য দিনের মতোই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন।
তবে বড়জোরাতে বনধের সমর্থনে সিপিআইএম কর্মীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে বড়জোরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েকজন সিপিআইএম কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান যদিও তাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বেলিয়াতোড় থানার বৃন্দাবনপুর বেলিয়াতোড় ছান্দার দেখা যায় রাস্তায় বেরোনো গাড়ি গুলিকে আটকে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম কর্মীরা এবং তাদেরকে ধমক দিতেও দেখা যায় তাদের।
সোনামুখী বিধানসভার সিপিএম বিধায়ক অজিত রায় বলেন সোনামুখীতে সর্বাত্মকভাবে বনধ সফল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও তিনি বলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বনধকে পুলিশ প্রশাসন আটকানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে সোনামুখী পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক তপনজ্যোতি চ্যাটার্জী বলেন, সোনামুখীতে বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি আর তাছাড়া মানুষ বুঝে গেছে সিপিএম বনধ আন্দোলন ছাড়া কিছু বোঝেনা ওরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকে না আজ হঠাৎ বন্ধ ডেকে দিল মানুষ ওদের কথা কেন শুনবে।
ইন্দাস ব্লকের কোর কমিটির সদস্য মোল্লা নাসির আলী বলেন, রাজ্যের মানুষ বনধের সংস্কৃতি ভুলে গেছে বনধ করে কোন সমস্যার সমাধান হয় না আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct