আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি আজারি সেনা কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত আমের্নিয়ার জনগণ নাগোরানো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রণ হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সরকারে প্রতি ক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে কথা মত নাগোরনো-কারাবাখে শান্তি বজায় রাখতে 'যৌথ পর্যবেক্ষণ' রাখার জন্য পদক্ষেপ নিলেন রিসেপ তাই্য়্যেপ এরদোগান।
তিনি এই ইস্যু নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন। মঙ্গলবার ওই অঞ্চলের শান্তি চুক্তি পর্যবেক্ষণ কি ভাবে হবে তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনিক আলোচনা হয়।
এরদোগান আশা করছেন, খুব শীঘ্রই 'যৌথ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ' প্রতিষ্ঠা করে তারা তদারকির কাজ শুরু করবেন। তুরস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রেসিডন্ট এরদোগান পুতিনকে বলেছেন, নাগারনো-কারাবাখের সংঘাত নিরসন ও এ অঞ্চলে স্থায়ী স্থিতিশীলতা আনতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়িত করতে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সম্ভব এই কেন্দ্র গড়ে তুলে কাজ শুরু হবে।
গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্ততায় আজারবাইন ও আর্মেনিয়ায় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। একই সঙ্গে
তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথ পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এটি আর্মেনিয়া দখল থেকে মুক্ত হওয়া আজারবাইজানি অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হবে।
সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহু আগে থেকেই। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া নাগোরনো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর আবারও দুই দেশ যুদ্ধে জড়ায়। পরে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয়। ৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে বাকু ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct