আপনজন ডেস্ক: 'সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী, তৃণমূল ত্যাগী।' করোনাকালে দীর্ঘ প্রায় আট মাস পর প্রথম প্রকাশ্য রাজনৈতিক সমাবেশে বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ি হাট ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম-বিজেপিকে এক হাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎবাণী করে বলেন, এই জেলায় 'একটা আসনও পাবে না বিরোধীরা'। 'সিপিএমের লজ্জা নেই', 'বিজেপির পায়ে পড়েছে' বলেও তিনি দাবি করেন।
তৃণমূল নেত্রী তাঁর এদিন ন'বছরের বেশী সময়কালে কি করেছেন তার বিবরণের পাশাপাশি সিপিএম, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় তাঁর প্রায় পঞ্চাশ মিনিটির বক্তব্যের সিংহভাগ সময়টা ব্যায় করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ বেকার বাড়িয়েছে। কয়লা খনি বেচে দাচ্ছে, ডিএ বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা সুদে খাটিয়ে তিনমাস পর দিচ্ছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি নীতির সমালোচনা করে বলেন, কেন্দ্রের কৃষি নীতির সমালোচনা করে বলেন, 'চাষীদের আলু-পেঁয়াজ লুঠ করছে। বিজেপিকে দেশের সবথেকে বড় অভিশাপ দাবি করে ঐ দলকে জব্দ করার নিদান দেন তিনি।
রাজ্যে আগামীদিন বিরোধী-শূন্য হবে। তিনি বলেন, আগামী দিনে রাজ্যে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস হবে নির্মূল। বিজেপি মিথ্যার ডাস্টবিন হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ৩৬৫ দিন মানুষকে বোকা বানায়।
বিরোধী রাজনৈতিক দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল সরকার 'মানবিক সরকার' দাবি করে বলেন, আমাদের সরকার মানবিক সরকার, সামাজিক সরকার। তারা থাকতে দেশকে টুকরো করতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারী দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কৌশলগত কারণে বিরোধীদের সমালোচনার পাশাপাশি দলের এক শ্রেণীর নেতা কর্মীকেও কড়া বার্তা দেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, কারো রিপোর্টকার্ডে ভুল থাকলে বলি দল থেকে সরে যেতে। দলে কে কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, সব তিনি নজরে রাখছেন। তিনি আরো বলেন, দলে থেকে কারা কার যোগাযোগ করছেন আমরা সব নজর রাখছি। সরকারের মতই দলটাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখব। এরপরেই তিনি বলেন, 'এটা ভাববেন না দিদি জানে না, দিদি জানে' বলেও তিনি জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct