আপনজন ডেস্ক: করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় নব দেশকেই গ্রাস করেছে। সাধারণ ভাবে বয়স্করা এই মারণ রোগে আক্রান্ত হলেও শিমু কিশোরদের তেমন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলত না। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ৯ জনের মধ্যে একজন শিশু ও কিশোর-কিশোরী রয়েছে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘অ্যাভারটিং এ লস্ট কোভিড জেনারেশন’ শীর্ষক ইউনিসেফ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এই ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ইউনিসেফ আরও জানিয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের মাঝে হালকা উপসর্গ দেখা গেলেও সংক্রমণের হার বাড়ছে এবং দীর্ঘমেয়াদে শিশু ও তরুণদের পুরো একটি প্রজন্মের শিক্ষা, পুষ্টি ও সামগ্রিক কল্যাণের ওপর এর প্রভাব জীবন বদলে দিতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী অনিয়ন্ত্রিতভাবে দ্বিতীয় বছরের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং এ প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে ইউনিসেফ শিশুদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্রমবর্ধমান পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর এ পুরো সময় জুড়ে অব্যাহতভাবে একটি ধারণা চলে আসছে যে, এতে শিশুদের তেমন ক্ষতি হয় না। এটা মোটেও সত্য নয়। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে এ রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। আর এটা মহামারিজনিত সমস্যার একটি ছোট অংশ। যদিও দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি শিশুদের ক্ষেত্রে এর চেয়েও বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এ সংকট যত দীর্ঘ হবে, শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সামগ্রিক কল্যাণের ওপর এর প্রভাব তত গভীর হবে। পুরো একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু শিশুরা একে অন্যের মাঝে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে এবং বেশি বয়সি মানুষের মাঝেও এক্ষেত্রে জোরালো প্রমাণ রয়েছে যে, প্রাথমিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে স্কুল বন্ধ রাখলে যে ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বরং বেশি সুবিধা পাওয়া যায় স্কুল খোলা রাখলে।
প্রতি ১৭ সেকেন্ডে ১ জনের মৃত্যু ইউরোপে
আপনজন ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়ল ইউরোপ জুড়ে। েএর ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ভাইরাস মহামারির রূপ নিতে পারে যাতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
হু-র ইউরোপ প্রধান হ্যানস ক্লুগ জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মহাদেশটিতে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। তিনি জানান, ‘সেখানে করোনায় প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজন মারা যাচ্ছেন।’করোনা মোকাবিলায় এরই মধ্যে একাধিক সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে।
কিন্তু, তবুও ইউরোপকে আসন্ন দিনগুলোতে কঠিন সময় পার হরতে হবে বলে মনে করেন হ্যানস ক্লুগ। তিনি বলেন, ‘টানেলের শেষে আলোর রেখা দেখা গেলেও (সামনে) কঠিন ছয়টি মাস অপেক্ষা করছে।’ তবে লকডাউন দেয়ার কারণে ইউরোপে করোনার নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct