আপনজন ডেস্ক : প্রথম তিন মরশুমে দু’বার ফাইনাল খেলা কেরালা ব্লাস্টার্সের আইএসএলে শুরুটা হয়েছিল সাড়া জাগিয়ে। যদিও শেষ তিন মরশুমে হঠাতই তাদের পারফরম্যান্স গ্রাফে চরম পতন হয়। শেষ তিনবারের মধ্যে একবারও প্লে-অফের দরজা খুলতে না পারা কেরালা ব্লাস্টার্স এই মরশুমে বদ্ধপরিকর নিজেদেরকে পুনরায় মেলে ধরতে। শক্তিশালী দল গঠন করে বাকি টিমের মতোই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে মগ্ন তারা। ২০ নভেম্বর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের মুখোমুখি হতে চলেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।
আগের মরশুমের পারফরম্যান্স: আগের মরশুমে সপ্তমস্থানে শেষ করেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। ২০১৮-১৯ মরশুমে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়া কোচ এলকো শ্যাতোরিকে এনেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। টানা তৃতীয় মরশুমের জন্য প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয় তারা। বার্থোলোমিউ ওগবেচে, রাফায়েল মেসি বৌলি, জিয়ান্নি জুইভেরলুনের মতো বিদেশিদের এনে তারকাখোচিত দল গড়েও লাভ হয়নি। প্রাক-মরশুমে পরিকল্পনার অভাবের পাশাপাশি চোটের কারণে ভুগতে হয়েছিল গোটা দলকে। ১৮ ম্যাচের মধ্যে কেবল ৪টিতে জয় এসেছিল ইয়েলো ব্রিগেডের।
নতুন সংযুক্তি: দুই ভারতীয় গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল এবং আলবিনো গোমসকে আসন্ন মরশুমে দলে নিয়েছে কেরালা। এছাড়া দক্ষিণের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে উল্লেখযোগ্য সংযোজন ডিফেন্ডার সন্দীপ সিং, নিশু কুমার। মিডফিল্ডার রোহিত কুমার, লালথাথাঙ্গা, ঋত্বিক দাস, গিবসন সিং। আপফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন নাওরেম মহেশ সিং।
বিদেশিদের মধ্যে নজরকাড়া অবশ্যই আপফ্রন্টে সেল্টিক, নরউইচ সিটির প্রাক্তন ফরোয়ার্ড গ্যারি হুপার এবং জর্ডন মারে। মাঝমাঠে নির্ভরতা দেবেন ভিসেন্তে গোমেজ, ফাকুন্দো পেরেয়া এবং রক্ষণে অবশ্যই বাকারি কোনে, কোস্তা এনহামোইনেসুর অন্তর্ভুক্তি নির্ভরতা দেবে। এছাড়া আব্দুল সাহাল সামাদ, রাহুল কেপিদের মতো দেশীয় ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছে দক্ষিণের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শক্তি: ইউরোপিয়ান ফুটবলে দারুণ অভিজ্ঞ দুই সেন্টার-ব্যাকের উপস্থিতি।
মাঝমাঠে বিকল্প ফুটবলারের সংখ্যাধিক্য।
গ্যারি হুপারের মতো ধ্বংসাত্মক স্ট্রাইকারের উপস্থিতি। আব্দুল সাহাল সামাদ, রাহুল কেপিদের সঙ্গে হুপারের বোঝাপড়া বিপক্ষের চিন্তার কারণ হতে বাধ্য।
দুর্বলতা: দলের ফিটনেস নিয়ে চিন্তা রয়ে যাচ্ছে কারণ বেশ কিছু ফুটবলার চোট সারিয়ে ফিরছেন।
সন্দেশ ঝিঙ্গান দল ছাড়ায় রক্ষণে নেতার অভাবে ভুগতে পারে দল।
মাঝমাঠে ফুটবলারদের সংখ্যাধিক্য থাকলেও সামাদ ছাড়া পরীক্ষিত নন কেউই।
নজর আছে যাদের দিকে: গ্যারি হুপার, আব্দুল সাহাল সামাদ, রাহুল কেপি।
স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আলবিনো গোমস, বিলাল খান, মুহিত শাবির, প্রভসুখন গিল
ডিফেন্ডার: আব্দুল হাক্কু, বাকারি কোনে, কোস্তা এনহামোইনেসু, জেসেল কার্নেরিয়ো, লালরুয়াথারা, নিশু কুমার, সন্দীপ সিং, ধনচন্দ্র মিতেই
মাঝমাঠ: অর্জুন জয়রাজ, আয়ুষ অধিকারী, জিকসন সিং, ভিসেন্তে গোমেজ, লালথাথাঙ্গা, গিবসন সিং, নংদাম্বা নাওরেম, প্রশান্ত কারুথাদাথকুনি, রাহুল কেপি, ঋত্বিক দাস, রোহিত কুমার, আব্দুল সাহাল সামাদ, সেইত্যসেন সিং, সার্জিও সিদোঞ্চা।
আক্রমণ: ফাকুন্দো পেরেরা, গ্যারি হুপার, জর্ডন মারে, নাওরেম মহেশ সিং, শাইবোরলাং খারপান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct