আপনজন ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাদের হাতে ভারতীয় সেনাদের অসুস্থ হযে যাওয়ার খবর নিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় গুলি চালনা নিষিদ্ধ। অথচ, চিনা সেনাদের দাপটে ভারতীয় সেনাদের পিছু হঠতে হয়েছিল অসু্স্থতার কারণে। সেই অসুস্থতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন চিনের এক অধ্যাপক। ডেইলি মেইল বলেছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চিনা অধ্যাপক জিন কানরং ক্লাসে পড়ানোর সময় পড়ুয়াদের বলেছেন, চিনের 'মাইক্রোওয়েভ' অস্ত্রের মুখেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ওই অধ্যাপকের দাবি, মাইক্রোওয়েভ অস্ত্রের কারণেই ভারতীয় সেনারা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়।
চিনের 'মাইক্রোওয়েভ' অস্ত্রের ভয়াবহতা নিয়ে প্রফেসর জিন বলেন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অস্ত্রের কারণে ভারতীয় সেনারা যেখানে অবস্থান করছিলেন তা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পরিণত হয়। এতে ভারতীয় সেনারা বমি করতে শুরু করে। এই অস্ত্রের ব্যবহারকে অসাধারণ বলে চীনা সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছেন ওই প্রফেসর। তিনি জানান, এই পদক্ষেপের কারণে কোনো ধরণের গুলির ব্যবহার ছাড়াই নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছে চিন। আরও জানিয়েছেন, এই 'মাইক্রোওয়েভ' অস্ত্র ০.৬ কিলোমিটার দূর থেকে গায়ের ত্বকের তরল অংশে প্রভাব ফেলে। তার ফলে, মাইক্রোওভেনের মতো উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এই ধরনের অস্ত্র এই প্রথম চিন ব্যবহার করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, ডেইলি মেইল বলেছে, এ বছরের আগস্ট মাসে ওই 'মাইক্রোওয়েভ' অস্ত্র ভারত সীমান্তে মোতায়েন করা হয়। এর আগে সীমান্তে চিনন-ভারত সংঘর্ষে নিহত হন কমপক্ষে ২০ ভারতীয় সেনা। এই সীমান্তের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এটিই সবথেকে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এরপরই চিন তাদের মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র নিয়ে আসে এখানে। জিন তার শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন, অস্ত্র মোতায়েনের ১৫ মিনিটের মধ্যেই ভারতীয় সকল সেনা বমি করতে শুরু করে। তারা দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিলেন না। ফলে পিছু হটে যান। আর এভাবেই চিন ওই এলাকা পুনরায় দখল করে নেয়। পুরনো চুক্তির আওতায় ভারত ও চিন সীমান্তে গুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে সেপ্টেম্বর মাসে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষই জানিয়েছে, এটি ছিল শুধুমাত্র সতর্কতামূলক এবং পরিস্থিতির জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে অভিযুক্ত করেছিল। মাইক্রোওয়েভ অস্ত্র ডেভেলপ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তবে চিনের বিরুদ্ধেই প্রথম বিশ্বের কোথাও শত্রুর বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct