আপনজন ডেস্ক: লকডাউনে গৃহবন্দি জীবনে ডায়াবেটিস রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। এতে শরীরচর্চার সুযোগ কমেছে, দুশ্চিন্তা বেড়েছে, খাদ্যাভ্যাস নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি লকডাউনের বন্দি জীবনে নতুন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটেছে, ফলে রোগী বাড়ছে ক্রমাগত। আর সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে না পারার কারণে রোগটি সম্পর্কে মনগড়া ধারণাগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভ্রমেই। ডায়াবেটিস সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন 'প্র্যাক্টো"র ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে, ডায়াবেটিস শুধু বৃদ্ধ বয়সে হয়| ছোটবেলায় ডায়াবেটিস দেখা দিলে আগে ধরে নেওয়া হত তা 'টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস'। বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে কম বয়সে অনেকেই 'টাইপ টু ডায়াবেটিস'য়ের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছেন। 'টিনএইজ' বয়সে কিংবা ২০ বা ৩০ এর কোঠায় যাদের বয়স, তাদের “টাইপ টু" ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করেন দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে বৃক্ধ নষ্ট হয়। রক্ত পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক আসলে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী এই রোগের জন্য দেওয়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকের আতঙ্ক থেকেই তারা এমনটা করেন। প্রকৃত ঘটনা হল, ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলেই রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়তে শুরু করবে। আর রক্তে সেই অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রাই ডেকে আনবে বৃক্ধের ক্ষতি। শুধু বৃ্ক নয়, সেই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়বে চোখ, স্নায়ু, হৃদযন্ত্র, যকৃত ইত্যাদিসহ অন্যান্য অঙ্গও। ডায়াবেটিস স্বাভাবিক আছে কি-না তা জানতে হলে প্রতি তিন মাস পর আপনাকে 'এইচবিএওয়ানসি' পরীক্ষাটি করাতে হবে। এই পরীক্ষার ফলাফল বলে দেবে ওই তিন মাস সময়ে আপনার ডায়াবেটিস গড় হিসেবে স্বাভাবিক ছিল কি-না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct