আপনজন ডেস্ক : বিভিন্ন কারণে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।কিন্তু শিশু তা বলতে ও বোঝাতে পারে না। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের বুঝতে হবে শিশুর কি হয়েছে। অনেক সময় তার শরীর খারাপের পিছনে কৃমি থাকতে পারে। কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার শিশু কূমির আক্রান্ত হয়েছে কি না। কৃমি আসলে এক ধরনের পরজীবী। যা ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে এবং সেখান থেকে খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। সাধারণত টেপ ওয়ার্ম, রাউন্ড ওয়ার্ম, হুক ওয়ার্ম ও পিন ওয়ার্ম বা থ্রেড ওয়ার্ম থেকে ইনফেকশন হয়। আপনার শিশু কৃমিতে আক্রান্ত্র হয়েছে, যেভাবে বুঝবেন। প্রথমে তার মধ্যে বমিভাব ও বমি থাকবে। খিদে না পাওয়া অথবা বারবার খেয়েও খিদে পাওয়া, ওজন কমে যাবে। জন্ডিস হবে। পায়ুছিদ্রের কাছে চুলকানির সৃষ্টি করে। ফলে বাচ্চারা ঘুমাতে পারবে না। প্রস্রাবে জ্বালা ও যন্ত্রণা হতে পারে। আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, কীভাবে কচি দেহে ঢোকে কৃমি? আসলে কৃমি ও তার ডিমগুলো বাইরের পরিবেশে দুইসপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বাচ্চারা যখন মাঠে খেলে তখন তাদের হাতের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। পায়ুছিদ্রের চুলকানির ফলে শিশুর হাতে, নখে কৃমির ডিম লেগে তা পুনরায় শরীরে প্রবেশ করে। যিনি বাচ্চাকে খাওয়ান তার হাত থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। শাকসবজি, ফল ঠিকমতো না ধুয়ে খেলে তা থেকেও কৃমি হতে পারে।শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে কোনও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct