আপনজন ডেস্ক: ছয় মেয়ে আর দুই ছেলের মা। ছয় মেয়েরেই অনেকে আগেই বিয়ে হয়েছে। মায়ের জন্য অন্তঃপ্রাণ ছিলেন তারা। সামান্য অসুখ-বিসুখেই মাকে দেখার জন্য ছটফট করতেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন নব্বই বছর বয়সী পঞ্চমী বেওয়া। এর মধ্যে এদিন হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মাকে শেষবারের মতো দেখতে ছয় মেয়ে ছুটে আসেন। মেয়েদের মধ্যে সবার ছোট চৈতী রানী ঠাকুরগাঁও ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। তিনি আসেন মায়ের লাশ দেখতে। মেয়েরা দিনভর মায়ের জন্য কান্নাকাটি আর আহাজারি করেন। বিকেলে পঞ্চমীর লাশ বাড়ির পাশের শ্মশানে সৎকার করা হয়। তবে বিপত্তি ঘটে এর মধ্যেই। স্বামীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে অচেতন হয়ে পড়েন চৈতী রানী। এ সময় চৈতী রানীকে মাইক্রোবাসে তুলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বড় মেয়ে স্বরজনি বালাও ছোট বোনের সঙ্গে। পথে স্বরজনি বালাও অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাসেই মারা যান দুই বোন। মায়ের লাশের সৎকার করতে না করতেই দুই মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct