আপনজন ডেস্ক : নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ অবসানের নাম নিচ্ছিল না আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। কিন্তু কারাবাখের দ্বিতীয় শহরও দখল নিয়েছে আজারবাইজ। তাই শেষমেশ যুদ্ধ বন্ধের দিকেই পা বাড়ায় আর্মেনিয়া। আর নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তুরস্কের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
তিনি বলেন,কারাবাখ যুদ্ধে তুর্কি ভাইদের অবদানের কথা আজারবাইজানের মানুষ সবসময় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে। আজারবাইজানের মানুষের সঙ্গে আমাদের তুর্কি ভাইয়েরাও যুদ্ধ জয়ের আনন্দ উদযাপন করছেন।
ভাষা, ধর্ম, জাতি এক থাকায় তুরস্কের সঙ্গে আজারবাইজানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই আর্মেনিয়ার দখলে থাকা ওই অঞ্চলগুলিকে পুনরুদ্ধার করা ক্ষেত্রে তুরস্কে এরদোগান সরকার সম্পূর্ণরূপে আজারবাইজানকে সহযোগিতা করে গিয়েছে। এই সহযোগীতার জন্য আন্তজার্তিকস্তরে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তবু সকল সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সহযোগীতা করে গিয়েছে তুরস্ক। তবে অবশেষে জয় এসেছে আজারাবাইনের পক্ষে। আর্মেনিয়া আরও ক্ষয়ক্ষতির ভয়ে শান্তি বজায় রাখতে রাশিয়া সরকারের মধ্যস্ততায় যুদ্ধা বন্ধের চুক্তিতে এল। আর্মেনিয়া এরই মধ্যে একটি চুক্তিতে সই করে, ইয়েরেভান অধিকৃত অঞ্চল থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলো,প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার, সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ওমিত দুনদার ও জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হাকান ফিদান বাকু সফরে যান। সেখানে তুর্কি ওই প্রতিনিধিদলকে রাজধানী বাকুতে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। এর পর তাদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct