কিবরিয়া আনসারী, ডোমকল: সাময়িক আনন্দ লাভের আশায় মানুষ নেশায় আসক্ত হয়। কিন্তু সেই সর্বনেশে নেশাই ধীরে ধীরে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সর্বশেষ পরিণতি হয় অকাল মৃত্যু। নেশার দুনিয়ায় প্রবেশ করা সহজ, কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসা দুঃসাধ্য। আর এই দুঃসাধ্য কাজকে সম্পূর্ণ করে দেখাল মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার ফরিদপুরের বাসিন্দা রফিকুল ও রুহুল।
সাময়িক আনন্দ লাভের আশায় নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে। আর ধীরে ধীরে তাদের নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। ১৭ বছর বয়স থেকেই রফিকুল ইসলাম ও রুহুল আমিন সেখ হেরোইনের নেশায় আশক্ত হয়ে পড়ে। হেরোইনের নেশা থেকে বেরিয়ে আসার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে রফিকুল ও রুহুলের।
একথা শুনতে পান জলঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল দাস। তিনি আর দেরি না করে, তড়িঘড়ি রফিকুল ও রুহুল'কে চিকিৎসার জন্য বহরমপুর দিশা সেন্টারে পাঠান। ওসির সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু'মাস ধরে চিকিৎসা করার পর, আজ তারা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। ফিরে পেয়েছে নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেই মাদকাসক্ত রফিকুল ও রুহুল জলঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে দেখা করে বলেন, নতুন জীবন ফিরে পেয়ে অসংখ্য ধন্যবাদ ওসি সাহেবকে।
ওসি উৎপল দাস ও এসআই মোঃ খুরশিদ আলম তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপশি পরামর্শ দিলেন, ড্রাগের নেশার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষতিকর দিকের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই সমস্ত মাদক শরীরে একবার প্রবেশ করলে। তা বার বার গ্রহণের তীব্র ইচ্ছা মানুষকে দিশেহারা করে দেয়। তাই সুস্থ জীবন নিয়ে ভালোভাবে বাঁচুন। এবং এলাকায় মাদকাসক্ত কেও থাকলে যোগাযোগ করতে বলুন। তাদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct