আপনজন ডেস্ক: করোনা আবহে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে হাতপাতালের পরিবর্তে বাড়িতে সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে। এতে বেড়েছে মাতৃ-মৃত্যুর সংখ্যাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাতৃ-মৃত্যুর প্রধান দুটি কারণ হল, খিঁচুনি ও প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ। বাড়িতে সন্তান প্রসবের সময় এ দুটো সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া, হাসপাতালগুলোতে সীমিত সার্ভিস, যানবাহন সমস্যা, হাসপাতালে সময়মতো পরিষেবা না পাওয়ার আশঙ্কা এবং ছুটির দিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গুণগত বা নির্ধারিত পরিষেবা না পাওয়া মাতৃমৃত্যু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ওজিএসবি বলছে, মহামারির আগে বাড়িতে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৩২ শতাংশের মতো। কিন্তু করোনা আবহে শতকরা ৫৪ শতাংশ বাড়িতে মাতৃমৃত্যু বেড়েছে। যদিও এটা গবেষণালব্ধ জরিপ নয়। যেহেতু মহামারি এখনও শেষ হয়নি, আর সব হাসপাতালের তথ্যও নেওয়া শেষ হয়নি, এখনও এন্ট্রি চলছে। তথ্য বলছে, লকডাউনের সময়ে পরিবার পরিকল্পনা সার্ভিস ছিল বেশ নড়বড়ে। লকডাউন থাকার কারণে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ‘ম্যাটেরিয়াল' পৌঁছাতে পারেননি। সেই সার্ভিস ছিল না। পরিবার পরিকল্পনা সেন্টারগুলোও বন্ধ ছিল। যে কারণে তারা উপকরণও পাননি। ফলে এ সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বেড়ে যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct