আপনজন ডেস্ক: বিকালে সবে মাত্র বিভিন্ন মসজিদে আসরের নামাজের জন্য আযান হচ্ছে। সেই সময় এক বিধ্বংসী আগুনে ছারকার হয়ে গের কলকাতার পার্ক সার্কাস লাগোয়া তপসিয়ার বস্তি। আর মঙ্গলবার যখন এই সব বস্তিতে আগুন লেগে কমপক্ষে ৫০-৬০টি বস্তিতে আগুন লাগে তখন অনেকেরই চোখ ছিল বিহারের নির্বাচনের দিকে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষেরই পৈতৃক বাড়ি বিহারে। রুটি রুজির টানে তাদের কলকাতায় আসা। বিহারে যখন এনডিএ সরকার ফের ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিল তখন তাদের কপাল পুড়ল কলকাতায়। এই আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন রঙের কারকানা থেকেই আগুন লেগেছে। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেননি।
লেলিহান শিখায় বস্তি পুড়তে থাকায় ওই এলাকার বিধায়ক জাভেদ আহমেদ খানের নির্দেশে যেমন বহু স্থানীয় যুবক নেমে পড়ের আগুন নেভাতে তখন এসে পড়ে দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন। ৬-৭টি ইঞ্জিনও আগুন নেভাতে কালঘাম ছুটে যায়।
মুহূর্তে খবর পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, তিনিও ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান্। বহুদিন পর এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে এলেন যেখানকার সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এ নিয়ে তিনি চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আসার সময় তখন প্রায় পনেরোটি ইঞ্জিন প্রাণপণ আগুন নেভাতে থাকে। তবে, এভাবে নিজে একজন মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু এলাকায় আগুন লাগায় এসেছেন এমন ছবি বহুদিন শহর কলকাতার মানুষ দেখেনি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সরেজমিন পরিদর্শন সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তিনি যে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেও এখনও অবশ্য তিনি ক্ষতিপূরণ বা বস্তি পুননির্মাণের কোনও ঘোষণা দেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct