আপনজন ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের স্বভূমি রাখাইন প্রদেশকে উপেক্ষা করেই মায়ানমারে শুরু হল সেদেশের নির্বাচন। রবিবার মায়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোটলড়াই শুরু হয়েছে। নির্বাচনে এবার ৯১টি দল থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এবং সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি পার্টির মধ্যে। সংবিধান অনুযায়ী তাতমাদও বা সেনা সদস্যদের ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত। নিবন্ধিত ভোটার ৩ কোটি ৭০ লাখ। যার ৫০ লাখই তরুণ।
এবারের নির্বাচনে রাখাইনসহ সংঘাতময় ৫৬ শহরে হচ্ছে না ভোট। বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৫ লাখ মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করায় প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবারের ফল। সবশেষ জনমত সমীক্ষা বলছে, সু কির দলকে ফের ক্ষমতায় চায় ৭৯ শতাংশ মানুষ।
রোহিঙ্গা অধুষ্যিত রাখাইনে সুযোগ নেই ভোটের। কোভিড১৯ এর কারণে, নির্বাচন স্থগিতের দাবিও তুলেছিল অন্তত ২০টি রাজনৈতিক দল। কিন্তু তা ধোপে টিকেনি।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, রাখাইন, শানের মতো বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে না, ভোট। ফলে ভোটাধিকার বঞ্চিত ১৫ লাখেরও বেশি।
‘বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে’ নামের একটি সংগঠন গতকাল শনিবার অভিযোগ করেছে, অং সান সু চির সরকার নির্বাচনের প্রাক্কালে ২২৯ জন রাজনীতিককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। ৫৮৪ জন রাজবন্দি বর্তমানে মায়ানমারের কারাগারে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। এর বাইরে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। আজকের নির্বাচনে তাদের কেউই ভোট দিতে পারবে না। সংগঠনটির অভিযোগ, সু কি-র সরকার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের আগে রাজনীতিবিদদের মুক্তি দেয়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সবচেয়ে বড় ধরনের দমন-পীড়ন চলেছে সু চির সরকারের আমলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct