আপনজন ডেস্ক: মিশরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে অপসারণের পর সেখানকার ক্ষমতা এখন আল সিসির। সমগ্র বিশ্ব যখন ফ্রান্সে হযরত মুহাম্মদ সা.-এর অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন সেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রতিবাদ করায় গ্রেফতার হলেন এক ইমাম। অভিযোগ মিশরের ইমাম, আলেম ও ইসলামি দলগুলির উপর লাগাতার নিপীড়ন চালাচ্ছে সিসি সরকার।
তবে, এবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের সমালোচনা করার কারণে মিশরের একটি মসজিদের ইমামকে আটক করা হয়েছে। দেশটির ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ ‘আহমাদ হাম্মাম’ নামের ওই ইমামকে আটক করা হয়েছে।
মিশরের উত্তরাঞ্চলীয় আলেক্সান্দ্রিয়া প্রদেশের একটি মসজিদের ইমামতি করেন আহমাদ হাম্মাম। তিনি শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্যের সমালোচনা করেন। এ খবর পেয়ে ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইমাম হাম্মামকে আটক করে বিচার বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে মিশরের পুলিশ। মিশরের গণমাধ্যম জানিয়েছে, হাম্মামের বিরুদ্ধে জনগণকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিশরের ওয়াকফ মন্ত্রী মুহাম্মাদ মোখতার জুমা এ সম্পর্কে বলেছেন, তিনি আহমাদ হাম্মামকে বরখাস্ত করার এবং হাম্মাম যাতে আর কোনো মসজিদের ইমামতি করতে না পারেন সে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মিশরে এমন সময় মসজিদের একজন ইমামকে আটক করা হলো যখন সারাবিশ্বের আলেম সমাজ ও ধর্মীয় নেতারা তাদের দ্বীনি দায়িত্ব অনুভূতি থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্টের ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে যাচ্ছেন।
ফ্রান্সে সম্প্রতি একজন স্কুল শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বাক-স্বাধীনতা বোঝানোর নামে মহানবী সা.-এর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন করেন। পরে ওই শিক্ষককে আবদুল্লাখ আনজোরভ নামে এক ব্যক্তি হত্যা করে। ওই স্কুল শিক্ষক নিহত হওয়ার পরপরই পুলিশ আনজোরভকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওই কার্টুন প্রকাশকে বাক-স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ফ্রান্সে এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে। এর প্রতিবাদে সারা বিশ্বের মুসলিমরা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct