আপনজন ডেস্ক: এ রাজ্যে নারদ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন শাসক তৃণমূল দলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা। এমনকী নারদের স্ট্রিং অপারেশনে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক এসপিও। এই স্টিং অপারেশনকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। এবার সেই ধরনের এক স্টিং অপারেশনে বিপাকে পড়ল বিজেপি। তবে এ রাজ্যে নয়, নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে।
গত মার্চ মাসে গুজরাটের রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিধায়ক জিপিতে যোগদান করেছিলেন। সেই কংগ্রেস বিধায়কদের একটি ভিডিও ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মাত্র দু মিনিটের একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করে গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেস। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সোমাভাই প্যাটেল দাবি করছেন তিনি এবং কংগ্রেসের আরও কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপির থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ঘুষ নিয়েছিলেন। এই টাকা তারা নিয়েছিলেন প্রার্থী পদ থেকে সরে আসার জন্য। এই বিপুল টাকার ঘুষের অফার প্রত্যাখ্যান না করে তারা নিয়ে নেন।
গুজরাত বিধানসভা ভোটের আগে এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও বিজেপিকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, এই ঘুষ দেওয়ার পিছনে রয়েছে অমিত শাহের কলকাঠি।
যিদিও বিজেপি বলছে ভোটে কল্কে না পেয়ে কংগ্রেস বিজেপির নামে ভুয়ো ও রটনা করে নির্বাচনে উতরাতে চাইছে। এটা কংগ্রেসের একটা চক্রান্ত। যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে স্টিং অপারেশন নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধে চলেছে তারাই এবার স্টিং অপারেশন ভুয়ো বলে গলা চড়াচ্ছে। বিজেপি বলছে, ভোটের আগে জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে গুজরাতের শাসক দলকে বিপাকে ফেরার জন্য এটা কংগ্রেসের চাল।
এখন বিহারে বিধানসভা নির্বাচন্ সেখানে এই স্টিং অপারেশনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct