আপনজন ডেস্ক: দীর্ঘদিন দরে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজ্যের মানুষ যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। যাতায়াতের জন্য ট্রেন অন্যতম সহায়ক হলৌ তার অভাবে নিরইদষ্ট গন্তব্য স্থানে পৌছতে একদিতে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে বাস, অটোর মাধ্যমে। আবার যারা দূর থেকে আসেন তারা চরম সমস্যায় পড়ছেন। তাই বহুদিন থেকে দাবি উঠছিল, বাজার ঘাট, মন্দির মসজিদ খুলে দেওয়া হলেও যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন চালু করা হবে না। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ বারে বারে বলে আসছিল রাজ্য চাইলে তবেই লোকাল ট্রেন চালাতে পারে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে এতদিন কোনও সদর্থক সাড়া না পাওয়ায় রেলও চুপ করে বসেছিল। কিন্তু একের পর এক রেল কর্মীদের জন্য চালু থাকা ট্রেনে সাদারণ যাত্রীরা উঠতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে তাতে রাজ্য সরকার এবার সক্রিয় হয়েছে। অবশেষে লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। রেলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে শনিবার রাতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুনীত শর্মাকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চিঠি দিলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। এদিনই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে হাওড়া স্টেশনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেন সাধারণ যাত্রীরা। এদিন রেল কর্মীদের ট্রেনে উঠতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাওড়া স্টেমনে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। তারপর রাজ্য সরকারের তরফে এই উদ্যোগ রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, রেলকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যে বিভিন্ন রুটে কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে রাজ্য। সকাল ও বিকেলের ব্যস্ত সময়ে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে হাতে–গোনা কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানো যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। আর পুরোটাই যাত্রীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার হাওড়া স্টেশনের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে জানিয়েছে রাজ্য। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এটা আমাদের নজরে এসেছে যে যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখীন সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে রেলপুলিশ। শুধুমাত্র রেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেখানে অন্য সরকারি কর্মী ও সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct