আপনজন ডেস্ক: দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল ছুটদের হার সবচেয়ে কম। বেসরকারি শিক্ষা সমীক্ষক সংস্থা ‘প্রথম এডুকেশন ফাউন্ডেশন’ তাদের ২০২০ সালের যে বার্ষিক শিক্ষা পরিস্থিতি রিপোর্ট (অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট) বা এসার প্রকাশ করেছে তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। গত ২৮ অক্টোবর এসার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই তুলে ধরে ডেরেক সোশ্যাল মিডিয়ায় সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
এসার রিপোর্ট বলছে, দেশের মধ্যে ২৬টি রাজ্যে ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৮৪টি জেলার ১৬৯৭৪টি গ্রামের ৫২,২২৭টি বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে পাঁচ থেকে ষোলো বছরের ৫৯,২৫১টি শিশু-কিশোর ও ৮.৯৬৩জন শিক্ষক বা প্রধানস শিক্ষকেরও তথ্য নেওয়া হয়। তাতে দেখা গেছে, দেশের মধ্যে স্কুলছুটদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান সবচেয়ে নীচে।
সেই তথ্য তুলে ধরে ডেরেক জানিয়েছেন, গত ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটের হার ৩.৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১.৫ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে প্রথম। জাতীয় স্তরে এই সময় ৪ শতাংশ থেকে স্কুট চুটের হার বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৫ শতাংশ হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি স্কুলছুটের হার কর্নাটকে ১১.৩ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ১৪ শতাংশ ও রাজস্থানে ১৪.৯ শতাংশ।
এছাড়া স্কুল পাঠ্য পুস্তক বিতরণেও প্রথম স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল পাঠ্য পুস্তক বিতরণ পায় ৯৯.৭ শতাংশ করেছে সেখানে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, অন্ধ্র ও মহারাষ্ট্রে সেই হার যথাক্রমে ৭৯.৬ শতাংশ, ৬০.৪ শতাংশ, ৯৫ মতাংশ, ৩৪.৬ শতাংশ ও ৮০.৮ শতাংশ।
এ সবের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউনে পশ্চিমবঙ্গে অনলাইন ক্লাস বেশ ভালেউল্লেখযোগ্য হারে হয়েছে সেকতা ডেরেক তুলে ধরেছেন। এসার রিপোর্ট বলছে, দেশজুড়ে বেসরকারি স্কুলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে বেসরকারি স্কুলগুলি ৮৭.২ শতাংশ ব্যবহার করলেও সরকারি স্কুলগুলির হার মাত্র ৬৭.৩ শতাংশ।