আপনজন ডেস্ক: পাকিস্তানে কিছু সংগঠনের বিরোধিতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মন্দিরটি ফের নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে পাক সরকার পরিচালিত আলেমদের কাউন্সিল। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রথম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু ইসলামী নামধারী সংগঠনের ফতোয়া জারির পর মন্দির নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইসলামী বিষয়ে পরামর্শ প্রদানে নিযুক্ত ওই পাকিস্তানের আলেমদের এই কাউন্সিল বলেছে, যে যার ধর্মের প্রার্থনার স্থান নির্মাণের অনুমতি রয়েছে ইসলামে।তাই হিন্দুদেরওে তাদের ধর্মস্থান তৈরি করতে দেওয়া দরকার। তাদের এই সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু নেতা ও সংসদ সদস্য লাল মালহি স্বাগত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহরে প্রায় ৩ হাজার হিন্দু বাস করে। ইসলামাবাদে হিন্দুদের এখন অবশ্য কোনো মন্দির নেই। কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডোলজি এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের হিন্দুরা তাদের মৃত স্বজনদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক অধিকার ছিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই অধিকারের আলোকে ইসলামাবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে উপযুক্ত স্থান থাকার অনুমতি রয়েছে যেখানে তারা ধর্মীয় নির্দেশনা অনুসারে মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য করতে পারবেন।
এছাড়া কাউন্সিল সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য বিবাহ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণেরও অনুমতি দিয়েছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে ইসলামাবাদে কোনো হিন্দু মন্দির গড়ে ওঠেনি।গত জুন মাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখে এই মন্দির নির্মাণের কাজ স্থগিত করে দেন।
কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর বক্তব্য মন্দির নির্মাণ ইসলাম-বিরুদ্ধ। সেসময় তাদের কেউ কেউ সরাসরি মন্দির নির্মাণে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে, যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপরই সরকার এক্ষেত্রে মন্দির নির্মাণে অর্থ ব্যয় করতে পারবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত মাওলানাদের ওই পর্ষদের ওপর ছেড়ে দেন ইমরান খান। তার আগে তিনি ৬ লাখ ডলার ব্যয়ে মন্দিরটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে মাওলানাদের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্ত আসার পর এখন কি তিনি মন্দির নির্মাণে অর্থবরাদ্দ করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct