আপনজন ডেস্ক: আমেরিকায় মহিলাদের যৌন দাসত্বে বাধ্য করা সেক্স কাল্ট গুরু কিথ রনিয়্যারিকে ১২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় আদালত। জালিয়াতি, যৌনকর্মের জন্য মানব পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফিসহ অন্যান্য অপরাধে নেক্সিয়াম সেক্স কাল্টের প্রতিষ্ঠাতা কিথ রনিয়্যারিকে গত বছর অভিযুক্ত করা হয়। নেতা হিসেবে তিনি মহিলাদের দলে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন এবং তাদের জোর করে বাধ্য করতেন তার সাথে যৌন সম্পর্ক করার জন্য। কাল্টে থাকা ভুক্তভোগীদের 'অপরিসীম ক্ষতি' করার দায়ে ৬০ বছর বয়সী রনিয়্যারির বাকি জীবন জেলে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মামলার কৌঁসুলিরা। ব্রুকলিনের আদালতে রনিয়্যারিকে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়। গত বছর মামলার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে রনিয়্যারি কোনো বক্তব্য দেননি। কাল্টের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় সদস্যরা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। রনিয়্যারির আইনজীবীরা প্রথম থেকেই তাকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন এবং তাকে অভিযুক্ত করার কারণ হিসেবে 'মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত স্বাক্ষীদের ভিত্তিতে হওয়া মিডিয়া প্রচারকে দায়ী করেন। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া নিউইয়র্কের অ্যালবানি ভিত্তিক গ্রুপটি নিজেদের 'মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে মানবিক মূলনীতির ভিত্তিতে তৈরি সম্প্রদায়' হিসেবে পরিচিয় দিত। প্রতিষ্ঠানের মূলনীতি অনুযায়ী, তারা 'উন্নত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে'। তাদের দাবি, তারা যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের সাথে কাজ করেছে। কিন্তু আসলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ নেতা রনিয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর শীর্ষস্থানে অবস্থান করে মহিলা কর্মীদের সাথে দাস ও প্রভুর মত সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। অনেক সময় গ্রুপের মহিলাদের তলপেটের একটি অংশ পুড়িয়ে রনিয়্যারির নামাঙ্কিত চিহ্ন বসিয়ে দেওয়া হতো এবং সেগুলোর ভিডিও করা হতো। এই গোষ্ঠীর একজন সদস্য অভিযোগ করেছেন, তার ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে রনিয়্যারি তার কুমারিত্ব নিতে পারে। ড্যানিয়েলা নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ওই মহিলা আদালতকে বলেছেন, 'আমি ও আমার অপ্রাপ্তবয়স্ক বোনকে রনিয়্যারি একাধিকবার যৌন মিলনে বাধ্য করে। এরপর আমরা গর্ভবতী হলে  গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়।' হলিউডের অভিনেত্রী থেকে শুরু করে মেক্সিকোর প্রাক্তন এক প্রেসিডেন্টের ছেলেও ওই কাল্টের সদস্য ছিলেন। তাদের অনেকে রনিয়্যারির বিরুদ্ধে আদালতে স্বাক্ষ্যও দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ নীতি মানছে না কেন্দ্র: খাড়গে

মেসির গোলের পরও ইন্টার মায়ামির বিদায়

দুর্যোগের মধ্যে কৃষি জমি সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী