আপনজন ডেস্ক: অযোধ্যায় ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবারি মসজিদ ধ্বংসের পর আরএেএস ও বজরঙ দলের পক্ষ থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছিল, এরপর তাদের নিশানা কাশী মথুরা। কাশী মথুরায় মসজিদ ‘তোড় দো’ আওয়াজ ফের ওঠে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভিত্তিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তপ্রস্তরে অনুষ্ঠানের সসয়। সেই আওয়াজ যে ঠুনকো ছিল না তা পরবর্তীতে আদারতে মামলা করা থেকে বোঝা যায়। গেরুয়া বাহিনী যাতে সেই লক্ষ্যে পৌঁতে না পারে তার জন্য এবার ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের কড়া প্রয়োগ চাইছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
এ সম্পর্কে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের বিশেষ ব্যবস্থায় পরিষ্কার বলা আছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের সময় থেকে দেশে যে সমস্ত ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে তার চরিত্র বদল করা যাবে না। তাহরে কীভাবে কাশী ও মথুরা নিয়ে সেই বিতর্ক উঠছে সে প্রশ্ন তোলে সিুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা রায়ে রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দেওয়ার পরই মথুরার শাহি ইদগা এবং কাশির জ্ঞানবাপী মসজিদ নিশানা হয়ে পড়ে সংঘ পরিবারের। উপাসনাস্থল আইনের ৪ নম্বর ধারায় স্বাধীনতার পর দেশে যে সমস্ত ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে তার চরিত্র বদল করা যাবে না বলে আইন রয়েছে তার বদল চেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে হিন্দু সংগঠন বিশ্ব ভদ্র পূজারী পুরোহিত। তারা এই আইনের পরিবর্তন চেয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও অযোধ্যা রাম জন্মভূমি মামলা এর বাইরে। কারণ, বাবরি মামলা স্বাধীনতার আগে থেকেই চলে আসছিল। যেহেতু স্বাধীনতার আগে থেকেই চলছিল। তাই সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফর ফারুকি দাবি করেছেন, দেশে মসজিরেদ উপর যে কোনও ধরনের আক্রমণ রুখতে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের কড়া প্রয়োগ প্রয়োজন। তা না হলে, দেশের মসজিদ নিরাপত্তার অভা্বে ভুগবে। ফের যে বাবরি মতো ঘটনা ঘটবে না, তা হলফ করে বলা যাবে। তাই উপাসনা আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct