আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে গোহত্যা নিবারণ আইনে নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার অভিযোগে চরম সমালোচনা করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থের একক বেঞ্চ সোমবার এক আদেশে বলে, যখনই কোনও মাংস পাওয়া যাচ্ছে তখন তাকে গোমাংস হিসেবে দেখানো হচ্ছে। আর এটা করা হচ্ছে কোনও ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই। গোহত্যা নিবারণ আইনের ৩, ৫ ও ৮ ধারায় গোমাংস বিক্রি ও গোহত্যায় অভিযুক্ত রহিমুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মামলায় সোমবার বিচারপতি সিদ্দার্থ এই মন্তব্য করেন।
বিচারপতি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণের পর বলেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অভিযোগ নির্দিষ্ট না করেই তাকে মাসাধিককাল ধরে জেলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিচারক যোগী রাজ্যের পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, যখন কোনও গরু পাওয়া যায় এ সব ক্ষেত্রে তখন তা উদ্ধার নিয়ে কোনও তথ্য থাকে না। কোথায় গবাদি পশু পড়েছিল বা কোথায় মৃত্যু হয়েছে তার সন্ধান দেওয়া হয় না পুলিশি নোটে।
বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন, গোশালাগুলো দুধ না দেওয়া গরু কিংবা বয়স্ক গরু রাখতে চায় না।তাদেরকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়। একই বাবে গরু দুধ দেওয়ার পর গরুকে রাস্তায় অবাধে ঘুরতে ছেড়ে দেন গো মালিকরা পয়ঃনালির নোংরা জল কিংবা উচ্ছিষ্ট, পলিথিন প্রভৃতি খাওয়ার জন্য।
বিচারপতি এ সম্পর্কে বলেন, এর একটাই পথ হয় গরুগুলিকে খুঁজে বের করে গোশালায় পাঠানো অথবা মালিকের কাছে দিয়ে দেওয়া।
এ বছরের প্রথমে উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে বিধানসভায় বলেছিল, ৯,২৬১টি গবাদি পশু নানা গোশালায় মারা গেছে শুধু ২০১৯ সালে। এর সাধারণ কারণেই এদের মৃত্যু হয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়। যদিও যোগী সরকার ২০১৯-২০ সালের বাজেটে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল গোশালা তৈরি ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct