আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নিট-২০২০ পরীক্ষার ফল। সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ এবার প্রথম হয়েছেন ওড়িশার সোয়েব আফতাব। একই নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন আকাঙ্ক্ষা। এ সবের মাঝে সাতশোর কম নম্বর পেলেও চমক সৃষ্টি করেছেন কাশ্মীরের দুই যমজ ভাই।
কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার কুঞ্জরের বাটপোরা গ্রামের বাসিন্দা বশির আহমেদের দুটি যমজ সন্তান এবার নিট-এ বসেছিলেন। ছোট এক দোকান চালিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা বশিরের আশা ছিল দুই ছেলেই একইসঙ্গে নিট-এ উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাক। কারন, তাদের গ্রামে ডাক্তারের অভাব। তার আশা পূরণ হতে চলেছে। তার দুই ছেলে গওহর বশির ও শাকির বশির সাড়ে ছশোর উপর নম্বর পেয়ে নিট-এ উত্তীর্ণ হয়েছেন।
গওহর বশির ও শাকির বশির নিট-এ ৭২০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ৬৫৭ ও ৬৫১ নম্বর। তাদের এই জোড়া সাফল্যে গ্রামবাসীরা অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন তাদেরকে।
নিজের সাফল্য সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে গওহর বশির বলেন, সর্বপ্রথম আমি মহানআল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তারপর বাবা-মায়ের। গওহরের সুরেই তাল মিলিয়েছেন তার জমজ শাকির। তিনি বলেন, আমাদের এই সফলতায় মা-বাবার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন পরিশ্রমের গুরুত্ব তাদেরকে বুঝিয়েছেন। শত অর্খনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও পড়াশোনা থেকে বিমুখ হতে দেননি।
দুই সন্তানের সাফল্যে গর্বিত বশির আহমেদ বলেন, ছোট্ট দোকান চালিয়েমাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার বেশি উপার্জন হত না। সেই টাকা দিয়েই কোনওরকমে সংসার চালালেতন স্ত্রী। এর সঙ্গে বাড়তি কিছু কাজ করে ছেলেদের পড়ার খরচ যোগাতাম। সেই পরিশ্রম আজ সফল হয়েছে বলে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ তিনি বলেন, জমজ সন্তানের এই কীর্তিতে শুধু তিনি নন,পুরো গ্রামবাসীই গর্ব বোধ করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct