আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ইসলামিক উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার তিনদিনের মজলিসে শুরার বৈঠক শেষ হল বুধবার। এই বৈঠকে নেওয়া হল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার বাজেট পেশ করা হয় এবং ২য় দিনের বৈঠকে মাদ্রাসার নির্মাণ ও শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা হয়। সঙ্গে মাদ্রাসা চালুর ব্যাপারে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তৃতীয়দিন অর্থাৎ সমাপ্তির দিনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এরমধ্যে অন্যতম হল প্রয়াত শাইখুল হাদিস মুফতি সাইদ আহমদ পালনপুরী রহ.-এর শূন্য পদে নতুন নিয়োগের ব্যাপারে। শাইখুল হাদিস পদে কয়েকজন উচ্চস্তরের ধর্মীয় বিদ্বানদের নাম পেশ করা হয়। দীর্ঘ গঠনমূলক আলোচনা, পর্যালোচনার শেষে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে মুফতি আবুল কাসেম নোমানিকে শাইখুল হাদিস পদে নিযুক্তি দেওয়া হয়। মাওলানা নোমানি দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম পদেও রয়েছেন। মাদ্রাসার সদরুল মুদররিসীন অর্থাৎ অধ্যক্ষ পদে নিযুক্তি পেলেন সর্বভারতীয় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি শায়খ মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানি।
অন্যদিকে নির্বাহী মুহতামিম পদে নিযুক্তি পেলেন মাহমুদ মাদানি জমিয়ত গোষ্ঠীর সভাপতি ক্বারি মাওলানা উসমান মনসুরপুরী।
উল্লেখ্য, তিনদিনের মজলিসে শুরার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অসম রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি ও সাংসদ মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল, দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রিন্সিপাল মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ বাস্তনভী, মাওলানা আব্দুল আলেম ফারুকী, মাওলানা রহমত উল্লাহ কাশ্মিরী, মাওলানা মালেক ইব্রাহিমী, মাওলানা নিজাম উদ্দিন খামোশ ,মাওলানা হাকেম কালেমুল্লাহ প্রমুখ। এদিকে সৈয়দ মাওলানা আরশাদ মদনী ,আবুল কাসেম নোমানী ও ক্বারী উসমান মনসুরপুরীকে অসমবাসীর পক্ষে সাধুবাদ জানান অসম রাজ্যিক জমিয়ত উলামা হিন্দের অন্যতম কর্মকর্তা তথা জনিয়া সমষ্টির বিধায়ক ড. হাফিজ রফিকুল ইসলাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct