আপনজন ডেস্ক: অবশেষে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা ‘নিট-২০২০’-এর ফল প্রকাশিত হল। করোনা সংক্রমণের কারণে প্রথম নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা হয়নি। কয়েকবার তারিখ পাল্টানোর পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট-২০২০’। গত ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিট-২০২০ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাতে দেখা যায় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ পরীক্ষার্থী দূরবর্তী এলাকায় ও করোনা সংক্রমণের কারণে অংশ নিতে পারেনি। তা সুপ্রিম কোর্ট তাদেরকে ১৪ অক্টোবর পরীক্ষা নিতে বলে আয়োজন সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে। সেই মতো পরীক্ষার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ শুক্রবার ‘নিট-২০২০’-এর ফল প্রকাশ করেছে এনটিএ।
এবারের নিট যে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রত্যাশিত মতোই প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সোয়েব আফতাব। রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন সোয়েব আফতাব। সোয়েব ৭২০ নম্বরের মধ্যে একশো শতাংশ নম্বর পেয়ে বিরল রেকর্ড সৃষ্টি করলেন। ওড়িশার বাসিন্দা সোয়েব প্রথম সে রাজ্যের বাসিন্দা যিনি ওই রাজ্য থেকে নিট-এর শীর্ষ স্থান অধিকার করেলেন।
সোয়েব যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন তার বাবা ছিলেন চা বিক্রেতা। তখন খুবই সঙ্কটে কাটলেও পরে তার বাবা কনস্ট্রাকশন ব্যবসায় আসায় রাজস্থানের কোটায় অ্যালেনে ভর্তি করতে সক্ষম হন।
এ বছর নিট-এ প্রথম হওয়া সোয়েব আফতাব ওড়িশার বাসিন্দা হিসেবে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হলেন। সোয়েব অবশ্য আগেই বুঝে গিয়েছিলেন তিনি প্রথম হবেন। কারণ, এনটিএ-র দেওয়ার উত্তরপত্রের ওএমআর শিট মিলিয়ে সোয়েব আত্মপ্রত্যয় ছিলেন মোট ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পাবেন। তার সেই কৃতিত্বের কথা ‘অ্যালেন’ নামক প্রশিক্ষণ সংস্থা ফলাও করে প্রচার করে। তখনওই বোঝা গিয়েছিল এ বছর নিট-এ প্রথম হচ্ছেন সোয়েব আফতাফ। সেটাই অবশেষে সত্যিই হল। আর এর ফলে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন সোয়েব আফতাব। কারণ, দেশের ইতিহাসে এই প্রথম ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হলেন কোনও মুসলিম। আর সেই কৃতিত্ব পেলেন সোয়েব। তার এই খুশির খবরে সোয়েবের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার। যদিও আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বাবা ও দাদুকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দের ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct