আপনজন ডেস্ক: বাংলা ভাষা সাহিত্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নাম ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়ার পিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করা এই ভাষাতত্ত্ববিদ বাংলা ভাষা চর্চায় বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। একসময় সংস্কৃত নিয়ে পড়তে গিয়ে তাকে কলকাতা বিশ্বদ্যিালয়ে ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য তিনি বাংলা ও সংস্কৃত চর্চার ক্ষেত্রে নানা গবেষণামূলক রচনা করে গেছেন যা আজও বাংলা ভাষাপ্রেমীদের জন্য প্রভূত কাজে লাগে।
বহু ভাষায় ছিল তাঁর পাণ্ডিত্য। ড. শহীদুল্লাহ’র মতো শিক্ষিত প্রজন্ম চাই বলে সওয়াল করলেন তাঁর নাতনী ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-রাজনীতিক ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ। জাতীয় সাংস্কৃতিকধারার উধ্যোগে আয়োজিত এক সংস্কৃতি সভায় শুক্রবার ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ বলেন, ড. শহীদুল্লাহ’র মতো শিক্ষিত প্রজন্ম চাই। আর তাই প্রয়োজন বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে তাঁর জীবনকথা, সঠিক ইতিহাস এবং জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন। তা না হলে সারাবিশ্বেসমাদৃত জ্ঞানতাপস শহীদুল্লাহ’র মত গুণীমানুষের জীবন আদর্শ-শিক্ষাকর্ম থেকে জানার সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়।
শুক্রবার সকাল ১০ টায়- হোটেল বৈশাখী মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিকধারার সাউন্ডবাংলা-পল্টনাড্ডা-৭৭-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ। কলামিস্ট মোমিন মেহেদীর সঞ্চালনায় এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দুই বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার মানিক চক্রবর্তী। অতিথি ছিলেন প্রকৌশলী মেহেদী হাসান পলাশ, সাংস্কৃতিকধারার পৃষ্টপোষক কথাশিল্পী শান্তা ফারজানা, সেভ দ্য রোড গোপালগঞ্জ শাখার সদস্য কবি সুমন বৈদ্য, মমতাজ আলী প্রমুখ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৭ বছরের ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখে পল্টনাড্ডা প্রতিমাসের তৃতীয় শুক্রবার বিকেল ৪টায় যথাসময়ে সাউন্ডবাংলা মিলনায়তনে করার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct