আপনজন ডেস্ক: ‘হালাল’ পদ্ধতিতে পশু জবাই করা নিষিদ্ধের দাবি সোমবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলাকালে এ ব্যাপারে বিচারপতি এস কে কাউল বলেছেন, ‘হালাল’ একটা পদ্ধতি মাত্র। বিভিন্ন ভাবে পশু জবাই বা কাটা সম্ভব, তা সে ‘হালাল’ হতে পারে কিংবা ‘ঝটকা’ হতে পারে। কিছু মানুষ যদি ঝটকা করে আর কিছু মানুষ যদি হালাল করে তাহলে সমস্যা কোথায় সেই প্রশ্ন তোলেন। তারপর বলেন কিছু মানুষ চাইবে ‘হালাল’ মাংস খেতে, কিছু মানুষ চাইবে ‘ঝটকা’ মাংস খেতে, কিছু মানুষ সরীসৃপের মাংস খেতে।
যদিও এক সংস্থার পক্ষে আইনজীবী তার আর্জিতে জানান, পশুরা কথা বলতে পারে না। তারেদ কথা তাই আদালতের কাছে পৌঁছয় না। ইউরোপীয়ান আদালত বলেছে, ‘হালাল’ করাটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। বহু মানুষ অতি যন্ত্রণাদায়ক বলে রিপোর্টও করেছেন। তাই ‘হালাল’ পদ্ধতিতে পশু হত্যা বন্ধ করা হোক।
ওই আইনজীবী আরও বলেন, ১৯৬০-এর পশু নিবারণ আইন অনুসারে ধর্মীয় রীতি মেনে পশু হত্যা মানা। তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
এ প্রসঙ্গে তখন বিচারপতি কাউল ওই আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আগামী দিনে আপনি কি বলবেন কারোরই মাংস খাওয়া উচিত হবে না? আমরা ঠিক করে দিতে পারি না, কে মাংস খাবেন আর কে নিরামিষ খাবেন।
আইনজীবী বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘হালাল’ পদ্ধতিতে শুধু মাত্র একটি বিশেষ সম্প্রদায় (মুসলিম) দক্ষরাই পশু হত্যা করে থাকেন। এতে যতক্ষণ না পশুটি মারা যায় ততক্ষণ রক্ত ঝরে যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সেক্ষেত্রে ‘ঝটকা’ দ্রুত পশুকে মেরে ফেলে। আইনজীবী এটিকে মানবতা বিরোধী বলে অভিহিত করলেও তার আবেদনকে ‘ক্ষতিকারক’ হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct