আপনজন ডেস্ক: সস্তায় প্রাণিজ প্রোটিন পেতে ডিম-ই ভরসা। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিমের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। ফলে ডিম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার প্রথম বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন করা হয়। এবারের স্লোগান, ‘প্রতিদিনই ডিম খাই, রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই।’
ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বছরে একজন মানুষের ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত। সাধারণ মানুষকে ডিম খাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয় এ দিবসটিতে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বলছেন চিকিৎসকরা। সেই জন্য আবার অনেকে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে, ডিম খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গোটা দেশেই বেড়েছে ডিমের চাহিদা।
রাজ্য পোলট্রি ফেডারেশনের ডেপুটি সিইও সর্বজিৎ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, রাজ্যে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা থাকে আনুমানিক সাড়ে ৩ কোটি। রাজ্যে উৎপাদিত হয় ১ কোটি ৩০ লক্ষ ডিম। বেশির ভাগটাই আসে ভিন রাজ্য থেকে। তবে আগে রোজ গড়ে ২৫-৩০টি ডিমের গাড়ি ঢুকত, এখন ঢুকছে ১৮-২০টি গাড়ি। তাঁর ব্যাখ্যা, 'করোনা পরিস্থিতিতে বহু চিকিৎসক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। লোকে এখন বেশি করে ডিম খাচ্ছে। বাইরে থেকে ডিমের গাড়ি কম আসছে।' সর্বজিতের সাফ কথা, 'ডিমের দাম আর কমবে না।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct