বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় এল কে আদবানি সহ ৩২ জন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হয়েছেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়ে। এই রায় নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহ নানা ব্যক্তিত্ব তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। এই রায় নিয়ে রাজ্যের 'সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন'-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামারুজ্জামান তার মতামত পেশ করেছেন। তা হুবহু প্রকাশ করা হল।
বাবরি ধ্বংস মামলার রায়
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মহামান্য সিবিআই আদালত অমানুষিক পরিশ্রম করে সুদূর প্রসারী, যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে! অভিনন্দন জানাই সকল কলাকুশলী, আইনজীবী ও বিচারপতিদের!
ইংরেজিতে বহুল প্রচলিত কয়েকটি শব্দ Travesty of justice, mockery of justice and the justice delayed, justice denied এর আদর্শ দৃষ্টান্ত এই রায়।
এতকাল শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের উপর আমাদের আস্থা দূর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছিল। এখন বিচার বিভাগের উপর আস্থা হারাতে শুরু করেছে।
আমাদের দেশের বিচার বিভাগ হয়তো মনে করে, এদেশে কোনো দিন দাঙ্গা হয়নি! আর কখনো হয়ে থাকলে নিশ্চয় মুসলিমরা হিন্দুদের খতম করার জন্য করেছে!
রামমন্দির নির্মাণ জাতীয় ইস্যু! হিন্দুদের আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়! কোনো আপস নয়।
মসজিদ ধুলিসাৎ করে মন্দির নির্মাণ গৌরবের কাজ! এর আবার বিচার! মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণ গৌরবের কাজ হলে, মসজিদ ধ্বংসের জন্য বিচার কিসের?
আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায় বিচার ও স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া কোনো সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতা টিকে থাকতে পারে না।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এবং বিচারপতি ন্যায় ও স্বাধীন বিচার বিভাগের পক্ষে। তাদের বিবেক ও ন্যায়পরায়ণতা যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন ভারতীয় সভ্যতা ধ্বংস হবে না।
সব শেষে, সিবিআই আদালতের এই রায় আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি মূলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চিন্তিত। আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct