প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কীভাবে সফল হওয়া যায় তার প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ, গাউড ও পরামর্শ। সেই কাজে নিয়োজিত চাকরি পরীক্ষার রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অ্যাকাডেমিক অ্যাসেসিয়েশন। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান কর্ণধার ও বিশিষ্ট কেরিয়ার পরামর্শদাতা সামিম সরকার শুরু করেছেন নতুন কলাম। আজ দ্বিতীয় কিস্তি।
লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৫ শে মার্চ থেকে, চার দফা লকডাউনের পর এখন চলছে তৃতীয় পর্বের আনলক ৩.০। যখন প্রথম লক ডাউন শুরু হয়, ছাত্রছাত্রীরা মেস-হোস্টেল ছেড়ে ছুটির মেজাজে বাড়ি ফেরে। বই খাতা নোটস ল্যাপটপ ফেলে, সঙ্গী শুধু সাধের স্মার্টফোনটি। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচ পাঁচটি মাস। পড়াশুনার সঙ্গে যোগাযোগ নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী নষ্ট করলো প্রস্তুতির অমূল্য কিছু সময়। করোনার তাণ্ডব একদিন হয়তো থামবে, কিন্তু আমরা অপচয় করে ফেলব মহা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সপ্তাহ, কিছু মাস। সময় তো আর থেমে থাকে না। আমরা কি দুর্যোগময় এইসময়কে কাজে লাগাতে পারি না, অযাচিতভাবে হাজির হওয়া এই সময়কে সদ্ব্যবহার করতে পারি না – একটু ভাবা দরকার।
হঠাৎ করে আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে এসে পড়েছি, সেখানে হাতে নিরবচ্ছিন্ন সময়, অথচ কাজ কিছু নেই। দেশনেতা থেকে চিকিৎসক- সকলেরই এক আর্জি “বাইরে বেরবেন না, বাড়িতে থাকুন”। বাড়িতে বসে প্যানিক না করে, অযাচিতভাবে আমাদের হাতে উপলব্ধ সময়কে ঠিকমতো কাজে লাগানো দরকার। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ের যুগে এমন এক অফুরান সময় পেয়ে যাওয়া সত্যিই অভাবনীয় ব্যাপার। টিভি, হোয়াটস্আ্যাপ এবং ফেসবুক দেশজুড়ে এক ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। একথা সত্য যে, মারণ করোনা ভাইরাসের দাপটে আজ মানবজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন, পৃথিবীর ভবিষ্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এমন অবস্থায় অযথা দুশ্চিন্তা কিংবা বিলাপ করে সময় না কাটিয়ে পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখানো দরকার। এখন দরকার শুধু পড়া আর পড়া। পড়াশুনার মধ্যে নিমজ্জিত থাকতে পারলে, দুশ্চিন্তা আশঙ্কা অযথা মনকে গ্রাস করতে পারবে না। তাতে একদিকে যেমন মন শান্ত থাকবে, অপরদিকে তেমন প্রস্তুতিও জোরদার হবে।
পড়ুন- সামিম সরকারের টিপস: করোনা আবহেও পরীক্ষা প্রস্তুতি চলতে থাকুক জোরকদমে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct