আপনজন ডেস্ক: দিল্লি দাঙ্গায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওল্ড মু্স্তফাবাদের এক দাঙ্গা দুর্গত ব্যক্তি আবেদিন করেছিলেন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু সরকার তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। তাই অপমান বোধ করে সেই টাকা ফিরত দিতে চাইছেন তিনি।
ওল্ড মুস্তাফাবাদ এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ইলেকট্রিকের দোকান চালান ৪৮ বছর বয়সি শাহজাদ আসগর জাইদি। তিনি তার দোকানঘরের মালিক রামধারী প্রজাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন তাকে ঘরের মধ্যে আশ্রয় দিয়ে দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। জাইদি জানান দাঙ্গা শুরু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। তখন স্ত্রী ও কন্যাদের পরিস্থিতির কথা ভেবে দোকান থেকে কোনও জিনিসপত্র বের করতে না করে সেসময় তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে দেন। তারপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়ির দিকে ছুটে পালিয়ে বাঁচেন। ঘরের মধ্যে থাকাটাই নিরাপদ বোধ করেন।
কিন্তু দাঙ্গা চলার মাঝে দোকানের মালিক প্রজাপতি তাকে ফোন করে জানান, তার দোকান লুঠ করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরদিন সিকালে পরিস্থিতি একটু শান্ত হলে নিজের দোকানটার কী অবস্থা তা দেখতে সেকানে যান। যখন বিধ্বস্ত দোকান দেখে তার ছবি তুলছিলেন জাইদি তখন পিছন থেকে কয়েকজন তার ঘাড় চেপে ধরে টেনে আনে।
প্রথমে তারা সব ছবি ডিলিট করতে বলে। যখন ডিলিট করছিলেন তখন তার ঘাড় ধরে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে। তখন তার দোকনের মালিক প্রজাপতি সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন। প্রজাপতি দাঙ্গাবাজদের হাত থেকে জাইদিকে বাঁচান। বাড়িতে ফিরে পুলিশকে তা জানানো হলেও পুলিশ আসেনি।
জাইদি জানান, তার দোকানের যা ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন সরকারের কাছে। এখন দোকানের যা অবস্থা তাতে শুধু ফার্নিচারের জন্যই লাখ টাকা খরচ করতে হবে। সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যেন তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় যাতে ফের দোকানটা চালাতে পারেন। কিন্তু দিল্লি সরকার মাত্র ৫ হাজার টাকা তাকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। তাই নিজেকে অপমানিত বোধ করে সেই টাকা তিনি সরকারকে ফেরত দিতে চান। তার আরও আক্ষেপ, যারা তারেউপর আক্রমণ করেছিল তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদেরকে ধরছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct