আপনজন ডেস্ক: রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। এবার গরিব ছাত্রীর আর্তিতে তার পড়াশোনার সাহায্যে হাত বাড়ালেন। মালদার কালিয়াচকের সৈয়দপুর গ্রামের একেবারে গরিব পরিবারের মেয়ে সাফিনা খাতুনের বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হতে পারছিল না। তখন তার মাথায় সম্প্রতি প্রচারের আলোয় আসা ফুরফুরার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীকে চিঠি লিখে সাহায্য চাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় আসে।
চিঠিতে সাফিনা লিখেছে- আমি ছোটো বেলা থেকেই খুব কষ্টে পড়াশুনা করেছি কিন্তু আমি এখন আর ভর্তি হতে পারছি না অভাবের জন্য। হঠাৎ আমার দাদার একটা মুদিখানার দোকান বন্ধ হয়ে প্রচুর টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে যায় তার ফলে আমরা আর্থিক সঙ্কটে পড়ে গেছি। আমি এখন চোখের ডাক্তার হতে চাই। তাই ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকী মহাশয়ের কাছে আমার নিবেদন যে আমাকে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দেন। সাফিনার এই চিঠি পেয়ে পীরজাদা
আব্বাস সিদ্দিকী তার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন।
মালদা জেলার কালিয়াচক থানার সৈয়দপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্রী সাফিনা খাতুন। ছোটো থেকেই মেধাবী ছাত্রী কিন্তু পরিবার অসহায়। অসহায় পরিবার হওয়ার পরও ছোটো থেকে মেয়েকে ভালোভাবে পড়া শোনা করিয়েছেন। সাফিনার পিতা মুহাম্মদ জাকির হোসেন খান ৯ বছর আগেই মারা গেছেন, দাদা পড়াশুনার খরচ বহন করতেন। কয়েকবছর থেকে তারা অসহায় হয়ে পড়ে। পরিবারের আর্থিক সঙ্কট নেমে আসে। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ভালো ফলাফল পেয়ে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক সংকট এর জন্য ভর্তি হতে পারছিলেন না ওই ছাত্রী সাফিনা খাতুন। কোন দিশা খুঁজে না পেয়ে অবশেষে দ্বারস্থ হয় ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জামাতের সর্বভারতীয় পরিচালক পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী যিনি ভাইজান নামে পরিচিত তার কাছে। একটি আবেদন পত্রে সাহায্য চেয়ে চিঠি লেখে সাফিনা খাতুন।
তারপর মালদা জেলা শাখা কমিটির তরফ থেকে তার বাড়িতে দেখা করে জেলা সম্পাদক মোঃ নাজমুস শাহাদাত এবং সম্পূর্ণ বিষয় ভাইজান কে জানানোর পর এই ওই অসহায় ছাত্রীর পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আহলে সুন্নাতুল জামাতের মালদা জেলা শাখা কমিটির প্রতিনিধি দল সেই মেধাবী ছাত্রীর হাতে নগদ টাকা তুলে দেন শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, মাওলানা হারুন রশিদ, শিক্ষক মোস্তাফেজুর রাহমান, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
সংগঠনের মালদা জেলা শাখা কমিটির সম্পাদক মোহাম্মদ নাজমুস সাহাদাত জানান যে, ওই এলাকার আফরাজুলকে রাজস্থানে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল তার পাশেও আমরা যেমন আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলাম অতএব পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী মহাশয়ের নির্দেশে সেই গ্রামের অসহায় দুস্থ পরিবারের মেধাবী ছাত্রীকে নগদ আর্থিক সাহায্য করা হল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct