আপনজন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের জন্য মানুষ এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যাপারে খানিকটা সংকোচের মধ্যে। কারণ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মানুষ হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে। সেই সময় প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এগিয়ে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সহমর্মী’।
আমফান থেকে শুরু থেকে নানা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। তরুণদের সমাহারে পরিচালিত এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সহমর্মী’ এক প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিবির করল জয়নগরের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের লাগোয়া এক প্রত্যন্ত গ্রাম শেরহাঙ্গামপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
রোববার আয়োজিত এই স্বাস্থ্য শিবিরে হিন্দু মুসলিম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মূলত গরিব পুরুষ-মহিলা শিশুরা অংশ নেয়। এদিন সকাল দশটা নাগাদ শুরু হয় স্বাস্থ্য শিবির। করোনা সংক্রমণের কারণে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় মানুষরা দলে দলে আসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন বিণ্নি সমাজসেবী চিকিৎসক। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কর্মরত এই সব চিকিৎসকরা ছুটির দিনটাকে গরিব মানুষদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করেন। সমাজবন্ধু এই সব চিকিৎসকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডা. মনিরুল শেখ (রায়দীঘি হাসপাতাল), ডা. ইয়াসিন শেখ (ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল), ডা. শাহজাদা মণ্ডল(বারুইপুর হাসপাতাল)।
‘সহমর্মী’-র কর্ণধার ও সম্পাদক সাজ্জাদ আখন জানান, প্রায় ২৫০জন মানুষকে বিনামূল্যে শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা নয়, তাদেরকে ওষুধও দেওয়া হয়। প্রত্যেককে মাস্কও দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে আসা সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের থারমাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শেরহাঙ্গামপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে প্রবেশ করানো হয়। তারপর ডাক্তাররা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তাদের প্রয়োজনমতো ওষুধ বিনামূল্যে তাদের হাতে তুলে দেন ‘সহমর্মী’-র স্বেচ্ছাসেবীরা।
এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যারয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. মেহেদি কালাম, সাংবাদিক জাইদুল হক, সমাজসেবী নাঈম মিস্ত্রি, জনাব রিয়াজুল প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct