আপনজন ডেস্ক: নীল নদের দেশ মিশরে জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বচিত হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মুহাম্মদ মুরসি। কিন্তু মার্কিন মদতপুষ্ট মিশরীয় সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুরসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জেলবন্দি করেন। এরপর সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন খোদ আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
প্রেসিডেন্ট পদে বসেই তিনি নানা দমনপীড়ন চালাতে থাকেন সাধারণ মানুষের উপর। বিশেষ করে মুরসি সমর্থকদের গ্রেফতার ছাড়াও তার অনুগামীদের জেলবন্দি করা হয়। মুরসিকেও জেলের মধ্যে অত্যাচার করায় নির্মমভাবে মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির পদত্যাগের দাবিতে এবার প্রতিবাদে ফেটে পড়ল মিশরের হাজার হাজার মানুষ।
রোববার মিশরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল গিজায় বড় বিক্ষোভ হয়েছে। গিজার কাদায়া শহরতলিতে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে ‘এই অভ্যুত্থানকারীর (স্বৈরতন্ত্রী সিসি) পতন হোক।’
এই বেক্ষাভের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় তা আরও মাত্রা পায়। বিক্ষোভাকারীদের রণং দেহী মূর্তি রূখতে পুলিশকে বুলেট ও কাাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়।
এদিন গিজা শহর ছাড়াও কায়রোর কূটনৈতিক এলাকা মাদি ও উপশহর মাদিনাত নাসরে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।কায়রোর তাহরির স্কয়ার, আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজে বহু পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সারা দেশে বহু ক্রসিং এবং মহাসড়কগুলোতে সামরিক চেকপয়েন্টও বসানো হয়েছে।পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় কায়রোর কেন্দ্রস্থল ও এর আশপাশের ক্যাফেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামে মানুষ।বিক্ষোভ দমনে আগে থেকেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। দু’দিনেই আটকের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct