আপনজন ডেস্ক: অল্প বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র আকারের পুকুরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এ অঞ্চলে কাঁকড়ার ফ্যাটেনিং পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বিদেশে কাঁকড়া রপ্তানি করে বিস্তর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। বঙ্গোপসাগর অধ্যুষিত গলাচিপা উপজেলার ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ তটরেখা ও তটরেখার ২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ৩০ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়া উৎপাদন হয়। কাঁকড়া চাষে প্রধান উপাদান লবণ জল। উৎপাদনের জন্য লবণাক্ততার মাত্রা ১৫ থেকে ৩০ পিপিটি এবং জলের তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকা প্রয়োজন। এ এলাকার জলে মার্চ থেকে শুরু করে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিমাণ তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা বিরাজ করে। মোশারেফ সর্দার জানান, কাঁকড়া চাষে বেশি জমি ও বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। উপযুক্ত পরিচর্যা এবং পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হলে প্রতি হেক্টরে দুই থেকে তিন টন কাঁকড়া উৎপাদন করা সম্ভব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct