আপনজন ডেস্ক: বিগত এক সপ্তাহ যাবত মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের শামসেরগঞ্জ ও অন্যান্য স্থানে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকসম্পদের মালিক মুহূর্তে অসহায় হয়ে যাচ্ছে। সকলের চোখের সামনে জনগণ সর্বহারা হয়ে যাচ্ছে। প্রাণে বাঁচারজন্য বিপদগ্রস্থ এলাকার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ স্থানে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এই সব অসহায় মানুষদের প্রতি সহায় হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললপপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য শাখা দাবি করে, অবিলম্বে রাজ্র সরকার যেন ভাঙন দুর্তগ মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদের পাশে দাঁড়ায়
এ ব্যাপারে এক প্রেস বিবৃতিতে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রেস সচিব মমিনুল ইসলাম জানান, ভাঙন দুর্গত মানুষদের পাশে প্রথম থেকেই আছে পিএফআই।মানবিক মুখ নিয়ে ছুটে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের সেবা করেই চলেছেবলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু এই বিপর্যয় অনেক বড় বিপর্যয়।তাই এখানে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ আবশ্যক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনগন গঙ্গা ভাঙনের ফলে এখন সর্বহারা হচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনের ফলে আগেই তারা সর্বস্বান্ত হয়েছে। এই করুণ অবস্থাতে যাদের বসবাসের বাড়িটাও গঙ্গায় তলিয়ে গেল তারা সরকারের বিশেষ সাহায্য ছাড়া সাধারণজীবনে ফিরে আসতে পারবে না। তাই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি রাজ্য সরকারের নিকটআবেদন করছে যে, সরকার যেন অবস্থার তীব্রতা বোঝার চেষ্টা করে এবং অসহায় মানুষে পাশে কোন কালবিলম্ব নাকরেই দাঁড়ায়।
সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ওই এলাকায় গিয়ে জনগণের অবস্থা পরিদর্শন করেছে। সেই সঙ্গে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সেবা করার জন্য নিয়োজিত প্রায় ৬০ জন সদস্যর প্রতি নির্দেশ দেন।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হাসিবুল ইসলাম বলেন যে, একটি সামাজিক সংগঠন হিসেবে পপুলার ফ্রন্টেরসদস্যরা জনগনের সেবা করছে এবং করতেই থাকবে। তিনি দাবি করেন যে, রাজ্য সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদেরপুনর্বাসনের ব্যবস্থা এখনই সুনিশ্চিত করে, কারন দীর্ঘ লকডাউনের পর এই বিপর্যয়ের শিকার এই সব মানুষজন মানসিকভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হবে। তাই সরকারের মানবিক দায়িত্ব তাদের জীবনকে রক্ষা করা।
তিনি সরকারেরনিকট দাবি করার সাথে সাথে সকল সংগঠন, সুশীল সমাজ ও জনগণের নিকট আবেদন করেন যে, তারা যেন এইবিপদপ্রস্থ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct