আপনজন ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাচীনকাল থেকে বিভন্ন রোগ নিরাময়ে প্রথাগতভাবে হলুদের ব্যবহার করে আসছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এটিকে কোনো দিন সেইভাবে গ্রহণ করেনি। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বর্তমানে এটিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন সাম্প্রতিক একটি গবেষণার রিপোর্টের ফলে। অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা ৭০টি রোগীর উপর করা এক পরীক্ষা চালান। যারা অর্থারাইটিসসহ পা ফোলা ও হাঁটুর ব্যথা নিয়ে ভর্ত্তি ছিলেন। এদেরকে দিনে দুবার এই হলুদের নির্যাস থেকে তৈরি ক্যাপসুল প্রয়োগ করেন। তাতে আশ্চর্যরকমভাবে ভালো ফল লক্ষ্য করেন। যদিও এক্স-রে করে এদের হাড়ের গঠনতন্ত্র পরীক্ষা করে তেমন কোন পরিবর্তন না লক্ষ্য করা গেলেও ব্যথা নিরাময় হয়েছে।
এর আগেও কিছু চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মতে হলুদ ক্যানসারসহ নানারকম দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করার ক্ষেত্রে পরিক্ষা চালানো হয়। তাতে ক্যানসার সেলগুলি বৃদ্ধি রোধ করলেও আশানুরুপ তেমন কোন ফল পাওয়া যায়নি। এবং এর আগে কোনোদিন হলুদকে মেডিসিন ড্রাগ হিসাবে ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এই গবেষানার ফলে বিজ্ঞানিরা এটিকে ড্রাগ হিসাবে ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন।
হলুদ হল কারকুমা লাঙ্গা গাছের শুকনো মূল। যাকে আমরা হলুদ গাছ বলে চিনি। এটি সাধারনত পুরো দক্ষিন এশিয়ার সমস্ত দেশগুলি জুড়ে খাদ্যের অপরিহার্য্য মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি, এ্যান্টি-সেপটিক গুণ আছে সেটা আমরা সবাই জানি।
কিন্তু বর্তমান গবেষণা এটিকে যন্ত্রণানিরামায়ক হিসাবেও ব্যবহারের দিক উম্মুক্ত করে দিল। আন্তর্জাতিক গবেষনা পত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গবেষকরা বলেন যে যদিও আর্থারাইটস রোগের কোন চিকিৎসা নেই, তাহলেও হলুদ যদি যন্ত্রনা কমাতে পারে, সেটাও বড় পাওনা। এই সম্পর্কে আরোও গবেষণার প্রয়োজন আছে, তাতে অন্য দিক বেরিয়ে আসতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct