আপনজন ডেস্ক : পশ্চিমার দুনিয়ায় ইসলামভীতি চরম পদক্ষেপ হয়ে উঠেছে কুরআন অবমাননা। কখনো পুড়িয়ে অথবা কখনো তার অনুলিপির পাতা ছিঁড়ে ইসলাম ও মুসলিমদের ওপর ঘৃণা প্রদর্শন এখন কট্টরপন্থীদের একমাত্র হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। মুসলিম নারীদের হিজাব ও নিকাব পরিধান করা নিয়ে আপত্তির পাশাপাশি এখন কুরআনের অনুলিপি ইসলামবিদ্বেষী রোষ দেখানোর জায়গা হয়ে গিয়েছে। তাই এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে নিন্দায় সরব হল ইন্টান্যাশাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলারস (আইইউএমএস)।
সম্প্রতি সুডেইনে ডেনিশ পিপলস পার্টির সদস্যরা অঅনুমোদিত প্রকাশ্য সমাবেশে কুরআন পুড়িয়ে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবের প্রচার করে। বিশৃংখলা এড়াতেই সুইডেন সরকার এই কট্টর ডানপন্থী দলের সদস্যদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করেই উস্কানিমূলক বিদ্বেষী কার্যকলাপ দেখায় এই দল।
দোহার এই আলেম গোষ্ঠীর ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তারা ইউরোপীয় ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মুসলমান এবং তাদের পবিত্র স্থান এবং বইয়ের বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের জন্য নিন্দা প্রকাশ করেছে। এই সংস্থা তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা স্বাধীনতা এবং সম্মানের প্রতীক, ধর্ম এবং পবিত্র স্থানগুলিতে যে সমস্ত আঘাত এসছে তার বিরুদ্ধে কোনও ধরণের প্রতিবাদ এবং নিন্দা কথা শুনিনি। একই সঙ্গে যারা এইসব জঘন্য ও আক্রমণাত্মক কাজ চালায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশগুলির পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।" আইইউএমএস ইউরোপীয় দেশগুলিকে "এই উস্কানি ও লঙ্ঘন রোধ করতে" এবং "ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ" করার আহ্বান জানাচ্ছে।
গত সপ্তাহে, ডেনিশ হার্ড লাইন (স্ট্রাম কুরস) দলের সদস্যরা সুইডিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্টকহোমের রিঙ্কবি, ফিত্তজা, অ্যালবি, হসবি এবং অ্যাপ্লান্সভেবি পাড়া, যেখানে তুর্কি ও মুসলিম অভিবাসীদের বাস রয়েছে, সেখানে কুরআন পোড়ানোর অনুমতি চেয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct