আপনজন ডেস্ক: লকডাউনের কবলে পড়ে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু নিয়োগ থমকে দাঁড়িয়ে। এরফলে বহু পরীক্ষার্থী অপেক্ষায় রয়েছে কবে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আর কবেই বা তারা নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে কাজে যোগ দেবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ওই সমস্ত উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের জন্য অনেক ক্ষেত্রে তাদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র আটকে আছে। যদিও কয়েকটি ক্ষেত্রে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেলেও শুধুমাত্র পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণেই নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছেন না। আর সেজন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগ দিতে পারছেন না।
পিএএসসি সূত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্ত জারি করা বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। এ বিষয়ে উল্লেখ করা যেতে পারে স্কুল ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির কথা। লকডাউনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুরো বন্ধ থাকলেও স্কুল ইন্সপেক্টরের নিয়োগও থমকে রয়েছে শুধমাত্র পুলিশ ও মেডিক্যাল ভেরিফিকেশনের কারণে। অথচ, এই স্কুল ইন্সপেক্টর নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিযোগ, মার্চ মাসের গোড়ার দিকে রেকমন্ডেট লিস্ট বের হয়েছে। তাই তারা আশায় ছিলেন, পুলিশ ও মেডিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে তারা নিয়োগপত্র পেতেন। লকডাউনের মধ্যে সরকারি অফিস চললেও তাদের এই ভেরিফিকেশন না হওয়ায় হতাশা গ্রাস করছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে রাজ্যের রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের আওতায় শূন্য ৩৩৮টি ‘সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুল’ পদের জন্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এরপর ওই বছরে পরীক্ষা পর্ব শেষে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারভিউ হয়। তারপর ফল প্রকাশ হয় গত মার্চ মাসের প্রথম দিকে। এর পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাদের মেডিক্যাল ভেরিফিকেশন হওয়ার কথা। সেখানকার মেডিক্যাল টিম সফল পরীক্ষার্থীদের মেডিক্যাল টেস্ট করে বিকাশ ভবনে পাঠালে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট থানা থেকে বিকাশ ভবনে পাঠানোর পর তাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা। কিন্তু ফল বের হওয়ার মাস ছয়েক কেটে গেলেও এখনও তা হয়ে না ওঠায় স্বভাবতই চরম অস্বস্তিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা।
যদিও জেলা সূত্রে জানা গেছে, বহু জেলায় খুব কম এসআই নিয়ে চলছে স্কুল শিক্ষা দফতর। তার ফলে বিশেষত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের হোম ওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্টে, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ঠিক ঠিক হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। শূন্য পদ পূরণ হলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মরত এক এসআই জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যে ৩৩৮ জন এস আই নিয়োগ আটকে আছে তাদের মধ্যে সংরক্ষিত ওবিসি-এ ৩৪ জন, ওবিসি-বি ২৪, এসসি-৭৪, এসটি-২০ ও প্রতিবন্ধীতে ১০জন। এই ৩৩৮জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর মধ্যে মুসলিম ৩৯জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ক্যাটেগিরিতে মাত্র তিন জন। তারা হলেন সৈয়দ সাবির আলি, সাজ্জাদ হোসেন ও সাহানারা খাতুন।
নীচে ‘সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুল’ পদে উত্তীর্ণদের সম্পূর্ণ তালিকা
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct