করোনা প্রতিষেধকের প্রথম আবিষ্কারের দাবি করল একদিকে ইসরাইল আর ইতালি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট করোনা প্রতিষেধাকের প্রথম আবিষ্কারক দাবি করে বলেছেন, ইসরাইলের একটি কোম্পানি করোনা ভাইরাসের মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। যা এই ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে এবং ভেঙে দিতে পারে ভাইরাল প্রোটিন। আর মঙ্গলবার সায়েন্স টাইমস ম্যাগাজিনে দেয়া বিবৃতিতে গবেষকরা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, রোমের স্প্যালানজানি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞরা করোনার প্রতিষেধক তৈরি করেছেন। এটি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। এটি মানব দেহেও প্রয়োগ করলে সফলতা পাওয়া যাবে।
গবেষকরা বলছেন, ইঁদুরের দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি করার পর তা মানবকোষেও কাজ করেছে। ইঁদুরের শরীরে তৈরি ওই অ্যান্টিবডি মানবকোষে করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে। তাতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের শরীরে তাদের তৈরি এ প্রতিষেধক ভালোভাবেই কাজ করবে।
ভ্যাকসিনটি বাজারে আনছে ইতালির শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি টাকিস। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) লুইগি আরিসিচিও স্থানীয় সংবাদ সংস্থা এএনএসএকে জানিয়েছেন, তাদের তৈরি এ প্রতিষেধকই সবচেয়ে উন্নত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি জানান, ইতালির বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে যে কার্যকর হবে, তার সংকেত মিলেছে স্পালানজানি হাসপাতালেই। তিনি মনে করেন, এটিই বিশ্বের প্রথম ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন ( যে ভ্যাকসিন সরকারি ছাড়পত্রের অপেক্ষায়), যা মানুষের শরীর থেকে করোনাভাইরাসকে দূরে রাখতে সক্ষম। ইতালির গবেষক দলটি মনে করছে, ভ্যাকসিনটি এ গ্রীষ্মেই মানব শরীরে পরীক্ষামূলক করার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
ইতালিয় সংবাদ সংস্থা এএনএসএ প্রকাশিত তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে সম্ভবত ইতালি থেকেই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আসতে যাচ্ছে আক্রান্ত দেশগুলোর কাছে। লুইগি আরিসিচিও আরও জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে তাদের গবেষণা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাদের প্রযুক্তিগত দিকে সাহায্য করছে মার্কিন সংস্থা লিনারেক্স।
তাই এখন করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে চাপান উত্তর চলছে ইসরাইল ও ইতালির মধ্যে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct