আসিফ রনি, বহরমপুর, আপনজন: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর থেকে মিডিয়ার একাংশ ও সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে। এ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে। নানাভাবে টার্গেট করা হচ্ছে তাঁদের। এরই মাঝে পশ্চিমবাংলার আর বাংলা নামে পরিচিত রিপাবলিক টিভির এক সংবাদ চ্যানেলে এক সঞ্চালক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ, সংবিধানের ‘সেকুলার’ শব্দ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এমনকি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নজরুল ইসলামের কবিতা নিয়েও ব্যঙ্গাত্মক ভাবে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ও নেটিজেনদের মাঝে। আর এরই মাঝে এবার বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ হচ্ছে বিভিন্ন থানায়।
রবিবার বহরমপুর থানার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে এবার সাংবাদিক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ এবং রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ এনে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের সাংবাদিক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিপন্থী। উল্লেখযোগ্য মন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে “সংবিধান থেকে ‘সেকুলার’ শব্দটি বাদ দিতে হবে,যদি আপনি নিজেকে সেকুলার ভাবেন তাহলে ভারত থেকে বেরিয়ে যান, এক বৃন্তে দুটি কুসুম, কিসের কুসুম?” ইত্যাদি মন্তব্যগুলো উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারীদের মতে, সাংবাদিকতার নামে বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, যার ফলে সম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে সম্প্রদায়িক বিভাজন ও উত্তেজনার পেছনে সাংবাদিক ময়ুখ রঞ্জন ঘোষকে দায়ি করে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। এই ধরনের মন্তব্য ও কর্মকান্ড দেশের সংবিধান, জাতীয় সংহতি ও সামাজিক সম্প্রীতির পক্ষে চরম হুমকি।
নাগরিকরা এই ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং অভিযুক্ত সাংবাদিক ও চ্যানেলের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct